পথ দুর্ঘটনায় আহতদের বাঁচাতে ‘গোল্ডেন আওয়ার’-এ জোর কলকাতা পুলিশের

কলকাতা: ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ বার্তা দিয়েও কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। দিনকে দিন বাড়ছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা। তবে দুর্ঘটনা ঘটলেও যাতে অন্তত দ্রুত চিকিৎসা পান দুর্ঘনাগ্রস্থ ব্যক্তি তারই ব্যবস্থা করা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। কারণ পুলিশ কর্তাদের ধারনা, অনেক সময় দুর্ঘটনার পর বেঁচে থাকলেও হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হওয়ার ফলে মৃত্যু ঘটছে অনেকের। অ্য়াম্বুল্যান্সের অপেক্ষা করতে গিয়েও অনেক সময় দেরি হয়ে যাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে এড়ানো যায়, এবার তারই উদ্যোগ নিল কলকাতা পুলিশ।
একইসঙ্গে কলকাতা পুলিশের কর্তাদের এও ধারনা, শুধু দুর্ঘটনা নয়, পথচলতি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। ঘটনার পর একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা গেলে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা থাকে। সেই সময়টাকে বলা হয় ‘গোল্ডেন আওয়ার’। সেই সময়টা যাতে নষ্ট না হয়, তারই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে পুলিশের তরফে।
এই পরিকল্পনাকে মাথায় রেখেই কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁদের চোখের সামনে এরকম কিছু ঘটলে তাঁরা কীভাবে প্রাণ বাঁচাবেন, সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে পুলিশকর্মীদের। কলকাতা পুলিশের কর্মীদের সেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয় মঙ্গলবার। সেই মুহূর্তে কী করলে কেউ সুস্থ হতে পারেন, প্রাণে বাঁচতে পারেন, সেটাই শেখানো হচ্ছে। মূলত পালস মাপা, সিপিআর দেওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সিপিআর দেওয়া অর্থাৎ যে পদ্ধতিতে অসুস্থ বা আহত মানুষের শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক করা যায়। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ টি ট্রাফিক গার্ডের প্রায় তিন হাজার পুলিশকর্মীকে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক সন্তোষ পাণ্ডে জানান, ওই সময়ের ওপর অনেকের বেঁচে থাকা নির্ভর করে। তাই এই প্রশিক্ষণ নেওয়া থাকলে অ্যাম্বুল্যান্স আসার আগেই প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করে দিতে পারবেন পুলিশকর্মীরা। প্রশিক্ষণ নেওয়া এক সার্জেন্ট জানান, পদ্ধতিগুলো শেখা থাকলে অনেকের প্রাণ বাঁচাতে পারবেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × four =