ফের অফিস টাইমে ট্রেন বেলাইন হওয়ার ঘটনা ঘটল হাওড়াতে। যার দরুন সমস্যার মুখে পড়েন যাত্রীরা। বুধবার সকাল ৮ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ হাওড়া স্টেশনে ঢোকার টিকিয়াপাড়াতে লাইনচ্যুত হয় ৩৮২০২ ডাউন বাগনান লোকাল। স্টেশনে ঢোকার পূর্বে নিজের ট্র্যাক বদল করার সময়। রেল সূত্রে খবর হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার চাঁদমারী ব্রিজের ১০০ মিটার আগে ১২ কোচের লোকাল ট্রেনটি সামনের দিকের চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়ে যায়। হাওড়া স্টেশনে একেবারে মুখে চাঁদমারি ব্রিজের কাছে লাইনচ্যুত হয় ৩৮২০২ ডাউন বাগনান লোকাল। স্টেশনে ঢোকার পূর্বে নিজের ট্র্যাক বদল করার সময় লাইনচ্যুত ওই ট্রেনের ৫ নম্বর বগি। যদিও টিকিয়াপাড়াতে ট্রেনের গতি কম থাকায় বড় দুর্ঘটনার থেকে রক্ষা পায় যাত্রীরা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। ট্রেনের লাইনচ্যুত হওয়া কামরার পিছনের বগিগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাকি বগিসহ ইঞ্জিন প্ল্যাটফর্মের দিকে সরিয়ে দেওয়া হয়। লাইনচ্যুত কামরাটি সরিয়ে ট্র্যাক মেরামতির কাজ চলছে বলেই জানান হয়েছে রেলের তরফে। যদিও এই ঘটনায় কারোর আহত হওয়ার কোনো খবর নেই বলেই জানিয়েছে রেল। যদিও অফিস টাইমে এই ঘটনার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তিতে পড়েন নিত্য যাত্রীরা। বর্তমানে ১৪ নম্বর প্লাটফর্ম দিয়ে কোনরকম ট্রেন চলাচল করছে না বাকিগুলো দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ট্রেন চলাচল করছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন,’ বুধবার ডাউন বাগনান লোকাল হাওড়ার চাঁদমারী ব্রিজের ১০০ মিটার আগে ১২ কামরার ডাউন বাগনান লোকাল লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনটির ৫ নম্বর কামরার সামনের চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এই ঘটনায় কেউ আহত হন নি। ইতিমধ্যেই ট্রেনটিকে ফের ট্র্যাকে তুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর ওই বগিটিকে জুড়ে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হবে। এর জন্য কোনো ট্রেন বাতিল বা দেরিতে চলে নি। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পরিষেবা সম্পুর্ন চালু আছে। শুধু এই লাইনেই পরিষেবা বন্ধ ছিল। দ্রুত এই লাইনটিতেও স্বাভাবিকভাবেই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।’
যদিও ওই ট্রেনের যাত্রী সুবর্ণ ধারা বলেন,’ যেখানে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেটা স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেকটাই দূরে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার জন্য দেরি হয়ে গেছে। দুটো ট্রেন মিস করেছি। এরপর আবার কখন ট্রেন পাবো জানি না। আমি উত্তরপাড়াতে যাবো’।
খোদ হাওড়া স্টেশন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এভাবে ট্রেন বেলাইন হওয়ার ঘটনাতে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। রেল লাইনের রক্ষনাবেক্ষনের কাজের গাফিলতিতে এই ধরণের ঘটনা বলেই মনে করছেন যাত্রীরা। যদিও গোটা বিষয়টি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দেখা হবে বলেই আশ্বস্ত করেছে মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র।
দীর্ঘ তিন ঘণ্টার বেশি সময় পরে ফের ওই লাইনে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।