মেট্রোর কাজের জন্য কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ইএম বাইপাসে ট্রাফিক ব্লক। কলকাতা মেট্রো সূত্রে খবর, মেট্রো পলিটন ক্রসিংয়ের কাছে মোট ৯০ দিন ধরে চলবে এই ট্রাফিক ব্লক। কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের তরফে এই অনুমতি পাওয়ার পর বিষয়টি জানানো হয় কলকাতা মেট্রোর তরফ থেকে। কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তায় এই ট্রাফিক ব্লকের কারণে যানজটের আশঙ্কা করছে প্রায় সবাই-ই।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কবি সুভাষ-বিমানবন্দর ভায়া রাজারহাট মেট্রো প্রকল্পে পিয়ার নম্বর ২৮৮ এবং পিয়ার নম্বর ২৮৯-এর পোর্টাল বিম নির্মাণের জন্য ট্রাফিক ব্লকের অনুমতি মিলেছে। ডিসি ট্রাফিকের তরফে রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই অনুমতির আগে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে ৭ থেকে ১১ জুন পর্যন্ত এই ক্রসিংয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়াও চালান হয়।
সমস্ত প্যারামিটার বিবেচনা করে, ৯০ দিনের জন্য ট্রাফিক ব্লকের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই প্রকল্পের বড় সমস্যার সমাধান করা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে, রাজ্য সরকারের সহযোগিতায়, আরবিএনএল-এর ইঞ্জিনিয়াররা পিয়ার নম্বর ২৮৮-র ফিক্সিং-এর কাজ আরও জোরদারভাবে করছেন। পাশাপাশি পিয়ার নং ২৮৯-এর জন্য ট্রেসেল নির্মাণের কাজও চলছে। মেট্রোর তরফে আরও জানান হয়ছে, ইএম বাইপাসের উপরে এই কাজ চলাকালিন সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবলম্বন করবে আরভিএনএল। কাজটি আগামী অগাস্ট মাসের মধ্যেই শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং চলতি আর্থিক বছরেই এই বিভাগটি চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এই লাইনে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি মোড় স্টেশন পর্যন্ত ৫.৪০ কিলোমিটার রুটে চালু রয়েছে মেট্রো পরিষেবা। আর বেলেঘাটা পর্যন্ত বিস্তৃত আরও ৪.৩৯ কিলোমিটার অংশটি কমিশনিংয়ের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা মূল্যায়নের পরে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। ফলে এই অংশে বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা খুবই তাড়াতাড়ি শুরু করা যাবে বলে আশাবাদী মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত মার্চ মাসে কবি সুভাষ এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত অংশের পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অরেঞ্জ লাইলেই মোট ২৮.৯০ কিলোমিটার করিডোরের কাজ সুচারুভাবেই চলছে। বাইপাসের যানজট কমাতে ও নিউ টাউন এবং রাজারহাটের মতো এলাকাগুলির সঙ্গে কলকাতার অন্যান্য অংশের যোগাযোগ বাড়াতে আগামীদিনে এই লাইনটি বিশেষ কার্যকরী হয়ে উঠবে বলেই আশাবাদী মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।