নতুন করে গজিয়ে উঠেছে সমিতি। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন হাওড়ার মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীরা। আচমকা গজিয়ে ওঠা সমিতির ‘মতলব’ নিয়ে সন্দিহান পোড়াহাট ব্যবসায়ী সংগ্রাম সমিতি। আশঙ্কা, তোলাবাজি ও হাট দখলের। তার জেরেই সোমবার এ নিয়ে সরব হলেন তাঁরা। ডেপুটেশন জমা দেওয়া হল হাওড়া থানাতেই।
আগেও হাট থেকে তোলবাজির অভিযোগ উঠেছে। গত বছর রাতের অন্ধকারে মঙ্গলাহাটের অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যবসায়ীরা নিজেদের পকেটের পয়সাতে আবার দোকান বানিয়েছেন। সেই দুর্দিনেও এই সমিতির কোনো অস্তিত্ত্ব ছিল না। হঠাৎ করে এই সমিতি ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বলেই অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন হাওড়া মঙ্গলা হাট সংগ্রাম সমিতির ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নতুন করে এক হঠাৎ গজিয়ে ওঠা সমিতির নাম করে কেউ বা কারা মঙ্গলা হাট দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
হাওড়া মঙ্গলা হাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রাজকুমার সাহা বলেন, ‘কুচক্রীর দল বিভিন্ন ধরণের চক্রান্ত করে মঙ্গলা হাটকে দখল করতে চাইছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এই হাটের নিরাপত্তা দাবি করছি। আমাদের ব্যবসায়ীদের নানাভাবে দুÜৃñতীদের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আদালত যে শান্তিরঞ্জন দে-কে ভুয়ো মালিক বলে উল্লেখ করেছে আমরা তাকে ভুয়ো বলছি। শেষ ১০ তারিখে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে সেই নির্দেশ নামাও আমরা দাবি-পত্রের সঙ্গে যুক্ত করে প্রশাসনকে দিয়েছি। এখানে শাসলদলের নেতা, বিধায়কের ছবি সহ বোর্ড ঝুলিয়ে দলকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে।’
যদিও গোটা বিষয়টিকে ভুয়ো সমিতির চক্রান্ত বলেই দাবি করছেন হাটের ব্যবসায়ী উৎপল সাহা। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আমি হাটে ব্যবসা করছি, গত বছর ২১ তারিখ হাটে আগুন লাগলো, দীর্ঘ ছয় মাস ধরে আমরা আন্দোলন চালাচ্ছি। এই ধরণের সমিতি কোনোদিন ছিল না। হঠাৎ করে রবিবার রাতে গজিয়ে উঠেছে। এখানে যাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে তাদেরকে আমরা চিনি না। এটা সম্পূর্ণ ভুয়ো সমিতি। যাতে হাটকে দখলদার মুক্ত রেখে হাটের স্বাভাবিক ব্যবসার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আমরা প্রশাসনকে আবেদন করেছি।’
যদিও এই বিষয়টিকে তোলা তোলার নতুন পদ্ধতি বলেই দাবি করে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, ‘ বহুবার হাটের ব্যবসায়ীদের উৎখাত করার চেষ্টা হয়েছে। আগুন লাগার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজে বড় তদন্তের কথা বললেও তার কি পরিণাম এখনও তা সামনে আসেনি। বরং এখন শাসক দলের মন্ত্রী, নেতাদের ছবি লাগিয়ে হাটের মাফিয়ারা চক্রান্ত করে এই হাট থেকে টাকা তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে। যেখান থেকে টাকা রোজগার হতে পারে, সেরকম কোনও জায়গাকেই তোলামূল পার্টি ছাড়বে না।’
যদিও মন্ত্রী অরূপ রায় দাবি করে বলেন, ‘আমি জানার পরই ওই জায়গা দখল মুক্ত করিয়েছি। দলের নাম করে কেউ কাউকে ধমকালে দল ব্যবস্থা নেবে। যেটা হচ্ছে সেটা ঠিক হচ্ছে না।’