জিয়াগঞ্জ: দেবতার মাথায় জল ঢালতে পায়ে হেঁটে দেবতার ঘরে যান ভক্তরা। এবার ২২০ কিমি পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে ভক্তের আগমন। উদ্দেশ্য প্রিয় শিল্পীর সঙ্গে দেখা করা। উত্তর চব্বিশ পরগণার মধ্যমগ্রাম থেকে হেঁটে জিয়াগঞ্জে অরিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করলেন দীপ কুমার। পেশায় ফুটপাতে প্লাস্টিকের খেলনা বিক্রেতা দীপ কুমারের স্বপ্নপূরণ করলেন জিয়াগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বিশ্বজিৎ ঘোষাল। দীপ কুমার বললেন, আমার প্রিয় শিল্পীর সঙ্গে দেখা করার স্বপ্ন অনেকদিন থেকে পুষে রেখেছিলাম মনে। আজ মনে হচ্ছে জীবন স্বার্থক হল।
ভারতের সুরের জগতে অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র অরিজিৎ সিং (Arijit sing)। তার সুরের জাদুতে মোহিত আট থেকে আশি। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র অরিজিৎ সিং প্রায় এক দশক ধরে তার সুরের মূর্চ্ছনায় ভারতের পাশাপাশি সারা পৃথিবীকে আচ্ছন্ন করে রেখেছেন। পৃথিবী জুড়ে রয়েছে তার অগণিত শ্রোতা ও গুণমুগ্ধ ভক্ত। বর্তমান প্রজন্মের আইডল অরিজিৎ সিংয়ের একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত মধ্যমগ্রামের দীপকুমার। অরিজিৎ সিংকে গুরু বলে মানেন। উত্তর চব্বিশ পরগনার গঙ্গানগর এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি দীপকুমারের। পরিবারে মা-বাবা রয়েছেন। দুবেলা দুমুঠো অন্নের সংস্থানের জন্য বাড়ির কাছেই ফুটপাথে প্লাস্টিকের খেলনার দোকান চালান। প্রিয় শিল্পীর সঙ্গে দেখা করতে ২৬ জুলাই বাড়ি থেকে হেঁটে জিয়াগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সাতদিন ধরে হেঁটে দুশো কুড়ি কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সোমবার বিকেলে জিয়াগঞ্জ শহরে পৌঁছন ওই যুবক। বিষয়টি জানার পরে জিয়াগঞ্জ থানার ওসি বিশ্বজিৎ ঘোষাল ওই যুবককে থানায় নিয়ে যান এবং অরিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেন। অরিজিৎ সিং থানায় এসে ভক্তের সঙ্গে দেখা করেন এবং বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন। দীপকুমার বলেন, গানের জগতের ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। ওনার মতো শিল্পী ও মানুষ এই পৃথিবীতে দুটো পাওয়া যাবে না। বিশ্বজিৎ ঘোষাল বলেন, সোমবার বিকেলে রুটিন টহল দেওয়ার সময় পার্কে প্ল্যাকার্ড হাতে ওই যুবকের সঙ্গে দেখা। তার এই প্রয়াস আমাকে মুগ্ধ করেছে। অভিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিই। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, অভিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে পদযাত্রা।