দিঘা: ডিসেম্বর পড়ে গেছে। মানে সামনেই বড়দিন। তারপরই ইংরেজি নবর্ষ। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষ উৎসবের মেজাজে। আর এই সময় চলে বনভোজনের পালাও। সেখানে আম-বাঙালির কাছে অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট হল দিঘা। কারণ, পুরী, দার্জিলিংয়ের থেকে কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গবাসীর কাছে অনেক কাছের জায়গা এই দিঘা। খরচ কম। যাতায়াতের হ্যাপাও তেমন নেই। তাই সুযোগ পেলেই সমুদ্র সৈকতে পাড়ি দেন সাধারণ মানুষ। এদিকে গত দু’বছর ধরে কোভিডের চোখ রাঙানি রীতিমতো প্রভাব ফেলে পর্যটন শিল্পে। ব্যাপক ক্ষতির মুখেও পড়ে এই শিল্প। দিঘা, পুরী, শঙ্করপুর সব ট্যুরিস্টস্পট-ই ছিল ফাঁকা। তবে ২০২২-এর ছবিটা আলাদা। কোভিডের চোখ রাঙানি চলতি বছর অনেকটাই কম।আর সেইকারণেই প্রশাসনের ধারনা, ডিসেম্বর এবং আগামী বছর জানুয়ারি মাসে রেকর্ড ভিড় হতে চলেছে দিঘাতে। আর এই ভিড় সামলে পরিবেশ রক্ষা করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের সামনে।
এই আনন্দের জন্য যাতে কোনওভাবেই পরিবেশ নষ্ট না হয় সেজন্য তৎপর দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। এই প্রসঙ্গে দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে খুব স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, দিঘাতে প্লাস্টিক এবং থার্মোকলের ব্যবহার কোনওভাবেই করতে পারবেন না পর্যটকেরা। আর এর জন্য চালানো হবে বিশেষ নজরদারি। এই সচেতনতা বাড়াতে পর্ষদের তরফ থেকে চলছে ম্যারাথন প্রচারও। কারণ, কোভিডের আগে বারবার নজরে এসেছে পিকনিকের সময় থার্মোকলের পাতা ব্যবহার করা হয়। আর তা যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার ঘটনাও নেহাত কম নয়। এর ফলে দূষিত হয় পরিবেশ।এই ধরনের ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দিঘা, শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, ‘যদি কাউকে প্লাস্টিক বা থার্মোকল ব্যবহার করতে দেখা যায় সেক্ষেত্রে ৫০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে।’ পাশাপাশি এও জানানো হয়, এই জরিমানা, অন্যান্য সময়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।