বোলপুর: মশাল মিছিলকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে ফের উত্তাল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। গত ১৩ দিন ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে তাঁরই পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছেন বিশ্বভারতীর একাংশের পড়ুয়ারা। সেই মঞ্চ থেকে বুধবার এক মশাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ থেকে উপাচার্যের বাড়ি পর্যন্ত মিছিল করার কথা ছিল বিক্ষাভকারী পড়ুয়াদের। এদিকে আবার কয়েকদিন আগেই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের দাবি ছিল, আন্দোলন চলাকালীন নিরাপত্তারক্ষীদের উদ্দেশে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন উপাচার্য। এমন একটা খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বিশ্বভারতীয় পড়ুয়াদের মধ্যে। এরপরই উপচার্যের পদত্যাগের দাবিতে জোরালো আওয়াজ ওঠে পড়ুয়াদের তরফে। এরইমধ্যে বুধবার পড়ুয়াদের তরফে বিশ্বভারতীতে একটি মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়। আর এই মিছিল থেকেই বিশ্বভারতীর মাঠে পৌষ মেলার দাবি সহ ফের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি ওঠে।এরপরইউপচার্যের বাড়ির সামনে পড়ুয়াদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। তবে এই মিছিলের জেরে কোনও অশান্তি হতে পারে এমনটা আশঙ্কা করেই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে শান্তিনিকেতন থানায় বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থার অনুরোধ জানানো হয়। এই আবেদনের ভিত্তিতেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাড়ির সামনে উপস্থিত ছিল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। ওই সময় আন্দোলনকারীরা বাড়ির গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের তরফ থেকে বাধা দেওয়া হয়। তখনই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। বেশ কিছুক্ষণ চলে ছাত্র-পুলিশের এই হাতাহাতির ঘটনা।