রোহিত, বিরাট বিশ্রামে। যদিও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই দু-জন আর দেশের জার্সিতে খেলবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। সরকারি ভাবে না বলা অবধি বিশ্রামে আছে বিরাট ও রোহিত এটা লেখাই শ্রেয়। ওদের অনুপস্থিতিতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দলের ব্যাটিং হতাশ করেছে। মাত্র ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লোয়ার অর্ডারকে ব্যাটিংয়ে নামতে হবে, এমনটাই যেন প্রত্যাশা ছিল না। শেষ অবধি মাত্র ৪ রানে হার। কোনও একজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ক্রিজে থাকলে পরিস্থিতি হয়তো অন্য হত। ব্যাটিংয়ের লেজ যাতে তাড়াতাড়ি না শুরু হয়, সে কারণে দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশে পরিবর্তন হতে পারে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৬তম সংস্করণে অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স যশস্বী জয়সওয়ালের। একটি সেঞ্চুরি রয়েছে। আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন যশস্বীই। প্রথম ম্যাচেই তাঁকে সুযোগ দেওয়া হবে বলে মনে করা হয়েছিল। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া দুই রিস্ট স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল ও কুলদীপ যাদবকে জুটিতে দেখতে চেয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচের ব্যাটিং পারফরম্যান্স একটা যেন সতর্কবার্তা দিয়েছে। কুলদীপ, চাহাল, অর্শদীপ, মুকেশ কুমার। এই চার বোলারের ব্যাটের হাত মজবুত নয়। যে ভরসাটা হয়তো শার্দূল, সামি, উমেশ যাদবদের ওপর করা যায়। ব্যাটিং শক্তিশালী করতে কোনও একজন রিস্ট স্পিনারকে বাদ দিয়ে যশস্বী খেলানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হবে এই তরুণ ব্যাটারের। এই সফরে টেস্ট অভিষেক হয়েছে যশস্বীর। প্রথম ম্যাচেই ১৭১ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচেও বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন।বোলিংয়ের ক্ষেত্রে অক্ষরকে বসানোর কথাও ভাবা যেতে পারে। সেটা করলে সমস্যা পুরোপুরি মিটবে না। প্রথমত, বোলিংয়ে ওর মতো বাঁ হাতি স্পিনার না থাকলে বৈচিত্র কমবে, দ্বিতীয়ত ব্যাটিং দুর্বল হবে। টপ অর্ডার রান পেলে অবশ্য এত কিছু ভাবার প্রয়োজন পড়ত না। প্রথম ম্যাচে ভারতের ইতিবাচক দিক ছিল দুই অভিষেককারীর পারফরম্যান্স। মুকেশ কুমার উইকেট না পেলেও স্লগ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। বাঁ হাতি ব্যাটার তিলক ভার্মা ৩৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেছিলেন। আইপিএল হোক বা জাতীয় দল, নেতৃত্বে নজর কেড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। একটা ম্যাচে হারে তিনি যে বিচলিত হবেন না সেটাই স্বাভাবিক। আর সে কারণে, অপরিবর্তিত একাদশও নামাতে পারেন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও।