বুধবার ইন্ডি জোটের প্রথম সমন্বয় কমিটির বৈঠক। দিল্লিতে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের বাসভবনে বিকেলে বসবে এই বৈঠক। এখনও পর্যন্ত সূত্রে যে খবর মিলছে তাতে মূলত আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা হবে এই ১৪ সদস্যের বৈঠকে। বিজেপির তরফ থেকে প্রার্থী ঘোষণার আগেই ইন্ডি জোটে থাকা দলগুলি তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করে ফেলতে চায়। আর সেই কারণে বিরোধী দল আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করে ফেলাও জরুরি। তবে এখন সারা ভারত এই দিকে তাকিয়ে যে নিজেদের স্বার্থত্যাগ করে কোন দল কতটা সমঝোতা করে।
সূত্রে এ খবরও মিলছে যে সম্প্রতি নির্বাচনগুলিতে কোন দল কেমন ফলাফল করেছে, তার একটা বিস্তারিত পর্যালোচনা করে এই আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা নেওয়া হবে। তবে বুধবারই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কি না তা নিশ্চিত নন কেউই। এদিকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কী প্রচারাভিযান চালাচ্ছে, তার উপরও নজর দেবেন ইন্ডি জোটের সদস্যরা।
সূত্রের খবর, প্রতিটি লোকসভা আসনে বিরোধী দলগুলির মধ্য়ে সবথেকে ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী যে দলে থাকবে, তাঁকেই সেই আসনে প্রার্থী করা হবে। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও বিহারে আসন ভাগাভাগি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেলেও, দিল্লি, পঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ নিয়েই বেশি চিন্তিত ইন্ডি জোট। কারণ এই রাজ্যগুলিতে বিরোধী দলগুলির নিজেদের মধ্যেই তুমুল লড়াই। এদিকে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবাই এসেছেন একই ছাতার তলাতে।
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা জানান, সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনো, যৌথভাবে নির্বাচনী প্রচার চালানো, বিভিন্ন রাজ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বুধবারের এই সমন্বয় কমিটির বৈঠকে। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়ার সদস্য় প্রত্যেকটি দলকেই তিনটি বিষয় ত্যাগ করতে হবে জোটকে সফল করার জন্য। এগুলি হল, উচ্চাকাক্ষ্মা, মতভেদ ও মন কষাকষি।’
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ইন্ডি জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির ১৪ জন সদস্য হলেন কেসি বেণুগোপাল (কংগ্রেস), টিআর বালু (ডিএমকে), হেমন্ত সোরেন (জেএমএম), সঞ্জয় রাউত (শিব সেনা-ইউবিটি), তেজস্বী যাদব (আরজেডি), রাঘব চাড্ডা (আম আদমি পার্টি), জাভেদ আলি খান (সমাজবাদী পার্টি), ললন সিং (জেডিইউ), ডি রাজা (সিপিআই), ওমর আবদুল্লা (ন্যাশনাল কনফারেন্স পার্টি). মেহবুবা মুফতি (পিডিপি), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (তৃণমূল কংগ্রেস) ও সিপিআইএমের একজন সদস্য।
এদিকে বুধবারই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেরার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে যোগ দিতে পারছেন না। এদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অভিষেকের বদলে তৃণমূলের তরফে অন্য কোনও সদস্যকে পাঠানো হবে না।
এদিকে আবার সিপিআইএমের তরফে এখনও কোনও সদস্য়ের নাম পাঠানো হয়নি। ফলে বুধবারের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকবে সিপিআইএমও। এদিকে সিপিআইএম-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১৬-১৭ সেপ্টেম্বর পলিটব্যুরোর বৈঠক। সেই বৈঠকে ইন্ডি জোটে দলের প্রতিনিধি কারা হবেন, তা ঠিক করা হবে।