নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে আত্মসমর্পণ তৃণমূল ছাত্র নেতার

নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে অবেশেষে কাঁথি আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তৃণমূলের ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। এই অভিযোগে করে জারি হয়েছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও এরপর থেকেই উদাও হয়ে যায় শুভদীপ। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে সে। পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁথি শহরের জাঁলালখাবার বাসিন্দা তথা তৃণমূলের ছাত্রনেতা এই শুভদীপ গিরি। কয়েক মাস আগে তাঁর বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে দিঘায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই নাবালিকার পরিবার। ধর্ষণের পাশাপাশি অন্তরঙ্গ ছবি সামনে এনে ওই নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগও ওঠে শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে। এরপরে এই ছাত্রনেতাকে আত্মসমর্পণের কথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পালটা এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শুভদীপের আইনজীবী ডিভিশন বেঞ্চে গেলেও এই মামলায় হস্তক্ষেপ করেনি ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, এই মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুভদীপের আইনজীবী কিশোর দত্ত জানিয়েছিলেন, ছাত্রনেতা পলাতক নন। অন্যদিকে, নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী শুভদীপের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকেই নির্যাতিতার পরিবার বিভিন্ন হুমকির সামনে পড়তে হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। নাবালিকার মা পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়েকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কিছু ভিডিয়ো রেকর্ড করে তা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। নাবালিকার বাবার দাবি ছিল, শুভদীপ গিরি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েছিল। পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তাঁদের সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা। মেয়ের জন্য ন্যায় বিচার পাবেন তাঁরা, আশাবাদী ছিলেন নাবালিকার মা-বাবা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + 11 =