এবার সরাসরি বিদ্রোহের পথে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। এসএসকেএম-ইস্যুতে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে মদন মিত্র একহাত নেন এসএসকেএম-এর ডিরেক্টরকে। কোথাও যে ক্ষোভ উগের দিতে দেখা গেল দলের হাইকমান্ডের ওপরেও।
এদিন এসএসকেএমের ডিরেক্টরের প্রসঙ্গ উঠতেই মদন বলেন, ‘এসব চাকর বাকরের কথা আমাকে বলবেন না। এই ডিরেক্টরের আমলে সবথেকে বেশি পিজিতে দালালি চলছে। ৫০ হাজার ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।’ একইসঙ্গে মদন বলেন, ‘অনেকে বলছিলেন আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ ফুটে বলবেন গত ৫ বছরে তিনি ৫ মিনিট কথা বলেছেন কি না? উনি তো নিশ্চয়ই আমাকে সে জায়গায় রাখেননি, যেখানে ওনার সঙ্গে আলোচনা করব।’
একইসঙ্গে পুরনো ঘটনা সামনে এনে জানান, ‘আমি ২৩ মাস কাস্টডিতে থেকেছি। তবে বলব দয়া করে আমার পরিবারের উপর কিছু করবেন না। আমি বলব যা করার আমার উপর করুন। পরিবারকে করবেন না। আমি তো আপনারই কেন্দ্রের ভোটার। প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করছি। খালি আমার পরিবারের উপর যেন কিছু না নয়।’ তবে দল ছাড়বেন না বলেও জানিয়ে দেন মদন।
বরং দল ছাড়ার সম্ভাবনার প্রশ্ন শুনেই মদন মিত্রকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘এ দলটা কার? এ দলটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল নাকি? এই দলটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল নাকি? এ দলটা আমাদের সবার দল। এটা বাংলার মা মাটি মানুষের দল। নাহলে তো লেখা থাকত ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল কংগ্রেস প্রাইভেট লিমিটেড। লেখা তো নেই। এটা আমারও পার্টি। আমি ছাড়তে যাব কেন? এই দলে অন্যদের যা অবদান আছে, তার কম অবদান আমারও নেই। কারও শরীরে যেমন আঘাতের চিহ্ন আছে, তেমন আমার শরীরে ২৩ মাস জেল খাটার চিহ্ন আছে।’
এদিকে এসএসকেএমের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে যথেষ্ট কড়া বার্তাই দেন। জানান, সকালে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেছেন এ নিয়ে। এ নিয়ে সাংবাদিকরা মদন মিত্রের কাছে জানতে চান, তিনি কেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন না? তিনি তো দলীয় বিধায়ক। পাশাপাশি মদন মিত্র এও জানান, ‘আমি শুনেছি উনি নাকি কথা বলতে চেয়েছিলেন। এটা শোনার পর ফোন করি। ফিরহাদ হাকিম যা বললেন সেটা আমাদের মধ্যেই থাক।’