টাইটান্সের ভরসা ‘জস’, পঞ্জাবের ম্যাক্সি!

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে মাত্র দু-দলের রেকর্ড রয়েছে অভিষেক মরসুমেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। কী ভাবে! ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের। অভিষেক আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। এরপর সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিল আরও একটি টিম! হ্যাঁ, সেটা আইপিএলের অভিষেক নয়, তবে টিমের অভিষেক। ২০২২ সালে আইপিএলে যাত্রা শুরু গুজরাট টাইটান্সের। আর অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয় টাইটান্স। ২০২৩ সালে রানার্স। গত মরসুমে প্লে-অফে উঠতে পারেনি টাইটান্স। গত মরসুমেই ক্যাপ্টেন্সির দায়িত্ব পেয়েছিলেন শুভমন গিল। এ বার কিছুটা হলেও পরিণত। তেমনই মালিকানাতেও বদল হয়েছে। টিমের অধিকাংশ শেয়ার টোরেন্ট গ্রুপের। সব দিক থেকেই এ যেন নতুন গুজরাট টাইটান্স।

আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম অর্থাৎ ঘরের মাঠে আজ নতুন মরসুমে অভিযান শুরু করছে গুজরাট টাইটান্স। তাদের প্রতিপক্ষ পঞ্জাব কিংস। নামেই শুধু নয়, টিম কম্বিনেশনের দিক থেকেও ‘কিংস’। তবে পঞ্জাব কিংসকে ‘মিনি অস্ট্রেলিয়া’ বললেও ভুল হয় না। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টইনিস, জাভিয়ের বার্লেট, অ্যারন হার্ডি, জশ ইংলিশ। এমনকি পঞ্জাবের কোচ রিকি পন্টিংও অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি। একাদশে সুযোগ পাওয়ার দিক থেকে অজি শিবিরের যে দু-জন এগিয়ে, নিঃসন্দেহে তাঁরা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং মার্কাস স্টইনিস। বিশ্বের সেরা দুই অলরাউন্ডার।

এ তো গেল অজি ব্রিগেডের কথা। বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে আফগান অলরাউন্ডার আজমতুল্লা ওমরজাই, কিউয়ি পেসার লকি ফার্গুসন, প্রোটিয়া বাঁ হাতি পেসার মার্কো জানসেনের কথা ভুললে চলবে না। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের প্রসঙ্গও বাদ দেওয়ার জায়গা নেই। পঞ্জাব টিমের চ্যাম্পিয়ন ক্যাপ্টেন। শ্রেয়স আইয়ার। গত কয়েক মরসুম কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলেছেন শ্রেয়স। এ বার মেগা অকশনে তাঁকে রেকর্ড দরে নিয়েছে পঞ্জাব কিংস। যে কারণে চাপও প্রচুর। তবে ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ থেকে শ্রেয়স আইয়ার যে ধারাবাহিকতা দেখিয়ে এসেছেন, সেটা আন্তর্জাতিক মঞ্চেই হোক বা আইপিএল, ঘরোয়া ক্রিকেট। এক কথায়, অতুলনীয়। গত বার কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। এ বার ক্যাপ্টেন শ্রেয়সের চ্যালেঞ্জ পঞ্জাবকে প্রথম ট্রফি দেওয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 + three =