বন্দি গ্যাংস্টার টিল্লু খুন তিহাড় জেলে , প্রশ্ন উঠে গেল নিরাপত্তা নিয়ে

দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি গ্যাংস্টার টিল্লুর উপর প্রাণঘাতী হামলা। সূত্রে খবর, তাকে বেধড়ক মারধর করে অপর বন্দি যোগেশ টুন্ডা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয় টিল্লু। এরপর তাকে উদ্ধার করে দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফলে এদিনের এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠে গেল দুর্ভেদ্য তিহাড় জেলের নিরাপত্তা নিয়ে।
তিবাড় জেল সূত্রে খবর, তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ জেলের প্রথম তলে ৩৩ বছরের টিল্লু তেজপুরিয়াকে লোহার গ্রিল ভেঙে তা দিয়ে আক্রমণ করে যোগেশ টুন্ডা, রাজেশ সিং, রিয়াজ খান। দিন দলায় হাসপাতালে আহত বন্দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
কুখ্যাত গ্যাংস্টার টিল্লু তিহাড় জেলের ৯ নম্বর সেলে বন্দি ছিল। আচমকাই তার উপর হামলা করেন ৮ নম্বর সেলের বন্দি যোগেশ টুন্ডা। লোহার রড দিয়ে মারাত্মক আঘাত করা হয় টিল্লুকে। এতে গুরুতর জখম হয় টিল্লু। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি।
এই গ্যাংস্টার টিল্লু তাজপুরিয়া ওরফে সুনীল মানই গত বছর রোহিনী আদালতের ভিতরে রাইভাল গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র যোগীর উপরে গুলি চালায়। সুপারি কিলারও নিয়োগ করেছিল সে। ঘটনায় জিতেন্দ্র যোগীর মৃত্যু হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই ঘটনার বদলা নিতেই জিতেন্দ্র যোগী গ্যাংয়ের সদস্য যোগেশ টুন্ডা টিল্লুকে হত্যা করেছে।
তবে এদিনের এই ঘটনায় তিহাড়ে হাইপ্রোফাইল বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। এদিকে এই মুহুর্তে গোরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডল রয়েছেন তিহাড় জেলের পুরুষ ওয়ার্ডের সাত নম্বর সেলে। ওই একই ব্লকের মহিলা ওয়ার্ডের ছয় নম্বর সেলে রয়েছেন সুকন্যা মণ্ডল। অনুব্রত এবং তাঁর কন্যা ছাড়াও গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত এনামূল হকও রয়েছে তিহাড়েই। রয়েছে সায়গল হোসেনও। এছাড়াও রয়েছেন দিল্লির দুই মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া এবং সত্যেন্দ্র জৈন। ফলে তিহাড়ের অন্দরে এমন হত্যাকাণ্ডে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও তাঁরা সকলেই নিরাপদে রয়েছেন বলে খবর।
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল গ্যাংওয়ারে রক্তাক্ত হয় তিহাড় জেল। সেলের মধ্যেই পিটিয়ে খুন করা হয় কুখ্যাত গ্যাংস্টার প্রিন্স তেওয়াটিয়াকে। সূত্রের খবর, তিহাড় জেলের দুই বন্দি প্রিন্স তেওয়াটিয়া এবং রোহিত চৌধুরীর গ্যাংয়ের মধ্যে সেদিন হাতাহাতি বেঁধে যায়। এর জেরেই খুন হয় প্রিন্স তেওয়াটিয়া। যিনি দিল্লির দাউদ নামে পরিচিত শীর্ষ গ্যাংস্টার হাশিম বাবার সহযোগী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =