তিহাড় জেলের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে, পুলিশের সামনেই বারবার ছুরিকাঘাতে মারা হয়েছে টিল্লুকে

টিল্লু ওরফে সুনীল তাজপুরিয়া হত্যাকাণ্ডে রক্তাক্ত হয়েছে তিহাড়। দুর্ভেদ্য এই জেলে গ্যাংওয়ারের জেরে গুরুতর জখম হয় দিল্লির রোহিনী আদালতে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত এই টিল্লু। এরপর হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে আবার তিহাড় জেলে টিল্লু হত্যাকাণ্ডের দিনের সিসিটিভ ফুটেজও ভাইরাল। যেখানে দেখা গিয়েছে, ১০ জন পুলিশ কর্মীর সামনেই লোহার রড দিয়ে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে টিল্লু তাজপুরিয়াকে। বুকে পিঠে লাথি, প্রায় ১০০ বার ছুরিকাঘাত। এই সমস্ত ঘটনাই ঘটে পুলিশের সামনেই ঘটে। অন্তত সিসিটিভি ফুটেজে মিলছে এমনই এক ছবি। ফলে এবার বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে তিহাড় জেলের নিরাপত্তা নিয়ে। কারণ, সূত্রে এ খবরও মিলছে যে, পুলিশের সামনেই চলে এই গ্যাংওয়ার। এই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে ৯ পুলিশ কর্মীকে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন অ্যাসিসট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট পদমর্যাদার আধিকারিকও।

এই ৯ পুলিশক্রমীকে সাসপেন্ড করার মূল কারণ, এঁদের মধ্যে একজনও পুলিশকর্মী এই রক্তক্ষয়ী গ্যাংওয়ার থামানোর কোনও প্রচেষ্টা করেননি। ছিলেন নীরব দর্শক মাত্র। সূত্রে খবর, এই ১০ কর্মী তামিলনাড়ুর স্পেশাল পুলিশ টিমের সদস্য। তবে টিল্লু হত্যার ঘটনার ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই তাঁদের মধ্যে ৯ জনকে সাসপেন্ড করা হয়।
পাশাপাশি এও জানা গেছে যে, ওই ফুটেজে টিল্লু তাজপুরিয়ার রক্তাক্ত দেহ একটি কম্বলে পেঁচিয়ে তিনজন পুলিশকর্মী জেলের সেল থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছেন তাও দেখা যাচ্ছে। ঠিক সে সময় জেলবন্দি অপর এক কয়েদি মনজিৎ মহল ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সঙ্গ কথা বলতে শুরু করে। এদিকে সেখানে পৌঁছয় যোগেশ টুন্ডা এবং দীপক তিতার। পুলিশের থেকে টিল্লুর ক্ষতবিক্ষত দেহ ছিনিয়ে ফের তাকে ছুরিকাঘাত করতে শুরু করে তারা।
একাধিকবার ছুরিকাঘাতের পরও টিল্লুর দেহে প্রাণ রয়েছে দেখে ফের তাকে আঘাত করতে থাকে রিয়াজ এবং রাজেশ বাওয়ানিয়া নামে আরও দুই কয়েদি। রীতিমতো পরিকল্পনা করে এই হত্যা করা হয়েছে বলে অনুমান। শুধু তাই নয়, এই ফুটেজ দেখে অনেকেরই অনুমান, পুলিশকে হুমকি দিয়েই এই কাজ করা হচ্ছিল। সব মিলিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে গেল পুলিশ এবং তিহাড় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 − one =