স্বাধীনতা দিবসের আগে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী মণিপুরে

সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন মণিপুর তাঁর ‘জিগর কা টুকরা’। সেই মণিপুরে এখনও দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তির আগুন জ্বলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। তার মধ্যেই মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে শুরু হল স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি। অস্থায়ী লোহার প্রাচীর তুলে হোর্ডিং লাগিয়ে শুরু হল স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়া। গত প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে অশান্তি চলতে থাকা রাজ্যটিকে মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে।

এ দিকে মণিপুরে বহু জঙ্গি গোষ্ঠী ইতিমধ্যে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্বাধীনতা দিবসের দিন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। মণিপুরের কোঅর্ডিনেটিং কমিটির বহু বেআইনি সংগঠনও স্বাধীনতা দিবসের দিন মধ্যরাত ১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এই কোঅর্ডিনেটিং কমিটির মধ্যে রয়েছে মণিপুরের ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ), পিপল’স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এবং প্রিপাক। এ ছাড়া দু’টি নিষিদ্ধ সংগঠনও ১৫ অগস্টের দিন রাজ্য জুড়ে বন্ধের ডাক দিয়েছে। তবে এ সবের মধ্যেই পুরোদমে শুরু হয়েছে কেন্দ্রের তরফে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতিও।

অন্যদিকে রবিবারই মণিপুরের পাঁচটি জেলায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করেছে মণিপুরের নিরাপত্তা বাহিনী। এর মধ্যে খাস রাজধানী ইম্ফলও রয়েছে। বিষ্ণুপুর, চুড়াচাঁদপুর, থুবল ছাড়া পূর্ব এবং পশ্চিম ইম্ফলে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। শনিবার থেকে রবিবারের মধ্যে এই পাঁচ জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রচুর গোলাগুলি এবং আটটি বিস্ফোরক। এ ছাড়াও এই পাঁচ জেলা থেকে প্রায় ২৭ কেজি ওজনের ২৫টি আফিমের প্যাকেটও উদ্ধার করেছে তারা। রবিবার থেকে ইম্ফলের পাশাপাশি এই পাঁচ জেলার মধ্যে চূড়াচাঁদপুরেও শুরু হয়েছে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি। শনিবার এখানকার টুইবোং এলাকার শান্তি ময়দানে আয়োজন করা হয়েছিল স্বাধীনতার দিবসের মহড়ার। সেই প্রস্তুতিতে যোগ দিয়েছিলে বিএসএফ থেকে শুরু করে মণিপুর পুলিশ, ছাত্রছাত্রী এবং অসম রাইফেলস। নিরাপত্তার জন্য জেলায় জেলায় তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য চেক পোস্ট। আইন না মানার জন্য গত কয়েক দিনে আটকও করা হয়েছে ১৫৮০ জনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − three =