কলকাতা: দুবছর করোনার কড়াকড়িতে ভার্চুয়াল ছিল তৃণমূলের একুশে জুলাই। একুশের বিধানসভা ভোটে বিপুল জয়ের পরও করোনার হানায় বড় করে শহিদ দিবস পালনের কর্মসূচি ব্রাত্যই থেকেছিল।এবারেও করোনা বাড়তে থাকায় সভা করা নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। সে নির্দেশ কী হবে পরের ব্যাপার।
তবে একুশের জনসভার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে এক যুবকের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। তাই এবার নিরাপত্তায় বিন্দুমাত্র ফাঁক যাতে না থাকে সেই চেষ্টাই চলছে।
ধর্মতলা চত্বরের সমস্ত বহুতলের ওপর থেকে নজরদারি করা হবে। সমাবেশের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকছেন ১৭ জন ডিসি। মঞ্চের আশপাশের এলাকা তিনটি জোনে ভাগ করা হচ্ছে। তিন জন ডিসি ওই তিন জোনের দায়িত্বে থাকবেন। নিরাপত্তার কারণে ওই দিন ভোর তিনটে থেকে শহরে পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারবে না।
কোনওপ্রকার পার্কিং হবে না- ভিক্টরিয়া মেমোরিয়াল, এজেসি বোস রোড (হেস্টিংস ক্রসিং থেকে ক্যাথিড্রাল রোড), কুইন্সওয়ে, লাভার্স লেন, ক্যসুরিনা অ্যাভিনিউ এলাকায় কোনও গাড়ি পার্ক করা যাবে না।
বৃহস্পতিহাক ভোর ৩টে থেকে কলকাতায় সমস্ত পণ্যবাহী গাড়ির প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।যে সব রাস্তা দিয়ে মিছিল যাবে, সেই রাস্তায় কোনওপ্রকার যানবাহনের পার্কিং করা যাবে না।এছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী সাময়িক রাস্তা বন্ধ থাকবে ও ঘুরিয়ে দিতে পারবে পুলিশ।
ভিআইপি-রা আসবেন রেড রোড, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিট হয়ে ওয়াটারলু স্ট্রিট ও বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট হয়ে সভামঞ্চে।১১ টি জায়গা থেকে মূল মিছিল আসবে।নিরাপত্তার জন্য ১৫ টি জোনে সভামঞ্চের আশপাশের এলাকাকে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক জোনে একজন করে ডিসি।আটটি জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে শহর জুড়ে।