রসনা তৃপ্তিতে বাঁধা, টাকা চাইতেই দোকানদারকে ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে ফেলে চম্পট ক্রেতার

সৈয়দ মফিজুল হোদা

হাতে পয়সা না থাকলেও রসনা তৃপ্তিতে ছিল না খামতি। তাই স্বাদ পূরণে বেছে নিয়েছিলেন টোটো স্ট্যান্ডের পাশে থাকা মিষ্টির দোকানকে। বেশ কয়েক দিন ধরেই চলছিল রসনাতৃপ্তি। কিন্তু সাতসকালে টাকা চেয়ে বাধ সাধেন দোকানদার। আর মিষ্টি খাওয়ার টাকা চাইতেই মর্মান্তিক পরিণতি হল দোকানদারের। ঠিক কী ঘটেছে বাঁকুড়ায়? অভিযোগ দিনের পর দিন ধারে মিষ্টি খাচ্ছিলেন ক্রেতা। ফের মিষ্টি খাওয়ার পর টাকা চাইতেই দোকানদারকে ধাক্কা দিয়ে ফুটন্ত তেলের কড়াইয়ে ফেলে চম্পট দিলেন ক্রেতা। বুধবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের পোকাবাঁধ পাড়ে। আহত দোকানদারকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।
বিষ্ণুপুর শহরের পোকাবাঁধ পাড়ে মিষ্টির দোকান রয়েছে কৃষ্ণপদ দে মোদকের। সেই দোকান থেকেই নাকি দিনের পর দিন ধারে খাবার খাচ্ছিলেন স্থানীয় টোটোচালক বর্ষাৎ। অভিযোগ, বুধবার সকালে ফের ওই যুবক দোকান থেকে মিষ্টি খান। এরপর দোকানদার কৃষ্ণপদ দে মোদক তার থেকে টাকা চাইতেই, দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। যুবক ক্রেতা বর্ষাৎ দোকানদারকে উদ্দেশে গালিগালাজ করতে থাকে। অভিযোগ, প্রতিবাদ করতেই কৃষ্ণপদ দে মোদককে ধাক্কা দিয়ে দোকানের উনুনে চাপানো কড়াইয়ে ফুটন্ত তেলে ফেলে দেয় ওই যুবক। তারপরেই ওই যুবক ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় ওই দোকানদারের হাত ও উরু ঝলসে যায়। প্রতিবেশী ব্যবসায়ী ও পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে।
কৃষ্ণপদ দে মোদকের স্ত্রী গায়ত্রী দে মোদকের কথায়, ‘ওই ছেলেটির থেকে পয়সা পেত, সেটা চেয়েছিল। দোকানের সামনে কথা কাটাকাটি হয়। দোকানের সামনে বচসা এড়াতে সরে যেতে বলে ওকে। তখনই আমার স্বামীকে ঠেলে দেয় ফুটন্ত তেলের ওপরে। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা কারও সাতে পাঁচে থাকি না, দোকান করি, খাই। আমরা চাই অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী অশোক কর বলেন, ‘ওই যুবক ধারে খেতেন, সেই টাকা চাইতেই তর্কবিতর্ক শুরু হয়। বাবা ও ছেলে দু’জনেই ছিলেন। বচসার পরে বাবাকে ঠেলে দেয় ওই যুবক। পায়ের পিছন দিক সম্পূর্ণ ঝলসে গিয়েছে। হাসপাতালে রয়েছেন। এখন আমাদের দাবি যে টোটোস্ট্যান্ড থেকে ঝামেলা হচ্ছে তাই ওটা তুলে দেওয়া হোক। ™ুলিশ প্রশাসন দেখে গেছে, কী ব্যবস্থা নেন ওঁরা সেটা দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + 17 =