দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গৃহবন্দি করে রাখার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপির বিক্ষোভ মিছিলেকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল মালদায়। শনিবার বিকালে বিজেপির জেলা কার্যালয় থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হতেই মাত্র ১০০ মিটার ব্যবধানে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ পুলিশের সঙ্গে চলে বিক্ষোভকারী বিজেপি নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা এবং ধস্তাধস্তি। তারপর একটা সময় পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বেশ কিছু বিজেপি নেতা, কর্মীরা আহত হয়েছেন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালদা মেডিক্যাল কলেজে। পাশাপাশি পুলিশের কাজে বাধা সৃষ্টি করার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গৃহবন্দি করার নির্দেশ দেয় রাজ্য প্রশাসন। এরপরই শুরু হয় গোটা রাজ্য জুড়ে বিজেপির প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ মিছিল। এদিন বিকেলে মালদা শহরের পুরাটুলি বাঁধরোড এলাকার বিজেপির জেলা কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে বিজেপির বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। সেই মিছিলে উপস্থিত হয়েছিলেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী সহ দলের একাধিক জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব এবং শতাধিক কর্মীরা বিজেপির জেলা কার্যালয় থেকে মাত্র ১০০ মিটার মিছিল এগিয়ে আসতেই ব্যারিকেড করে সেই মিছিল আটকে দেয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। ব্যারিকেডকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। অবশেষে ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপির মিছিল এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। সেই সময় পুলিশকে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করতে হয় বলে অভিযোগ। আর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় আহত হয় বেশ কিছু বিজেপি নেতাকর্মীরা।
জেলা বিজেপির সহ-সভানেত্রী মৌসুমী মিত্র বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এদিন প্রতিবাদ মিছিল করছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে পুলিশ আমাদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে। কোনও মহিলা পুলিশ ছিল না। পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
যদি এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে কোনওরকম লাঠিচার্জ হয়নি। বরঞ্চ যারা মিছিল করেছিলেন তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিল। সেই মিছিলে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র। পাঁচজনকে আপাতত আটক করা হয়েছে।