পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিন স্পিনার!

রাত পোহালেই ভারত-পাক। হাইভোল্টেজ ম্যাচের কম্বিনেশন নিয়ে আলোচনাও তুঙ্গে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও জয়। তবে দু-ম্যাচে ভিন্ন কম্বিনেশন ছিল। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানিয়েছিলেন, ভেনু এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী কম্বিনেশন বেছে নেবেন। চেন্নাইয়ে অজিদের বিরুদ্ধে তিন স্পিনারের কম্বিনেশন ছিল। দিল্লিতে আফগানদের বিরুদ্ধে অশ্বিনকে বিশ্রাম দেওয়া হয়। আমেদাবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বোলিং লাইন আপ কেমন হতে পারে? তারই আভাস দিলেন অধিনায়ক রোহিত। বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন না রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অক্ষর প্য়াটেলের চোটে শেষ মুহূর্তে অশ্বিনকে স্কোয়াডে যোগ করা হয়। চিপকের পিচে মাত্র ১ উইকেট নিলেও অজি ব্যাটারদের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন। তবে অশ্বিনের মতো অভিজ্ঞ স্পিনারকে যে ম্যাচের গুরুত্ব বুঝেই খেলানো হবে, ধরেই নেওয়া যায়। প্রথম ম্যাচে জয়ের পরও রোহিত জানিয়েছিলেন, কম্বিনেশন বদল হতে থাকবে। আমেদাবাদে পাকিস্তান ম্যাচের আগেও তেমনই ইঙ্গিত। আমেদাবাদের স্কোয়ার বাউন্ডারি বড়। স্পিনের বিরুদ্ধে পাক ব্যাটারদের মূল অস্ত্র সুইপ। মিস টাইম হলে যা থেকে লাভ তুলতে পারে ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কি তিন স্পিনারে কম্বিনেশন দেখা যেতে পারে? ভারত অধিনায়ক রোহিত বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি এখনও জানি না। তবে প্রয়োজন পড়লে কম্বিনেশনে এক-দুটি পরিবর্তন হতেই পারে। আমরা সবরকম পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত। দলের সকলকেও এই বার্তা দেওয়া রয়েছে। ওরাও ওয়াকিবহাল, যে কোনও ম্যাচে পরিস্থিতি অনুযায়ী বদল হতে পারে। এটা কোনও সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। এখানে যদি তিন স্পিনার প্রয়োজন হয়, অবশ্যই খেলাব।’ এক দিকে আমেদাবাদ স্টেডিয়ামের বড় স্কোয়ার বাউন্ডারি, অন্য দিকে অশ্বিনের অভিজ্ঞতা। পিচে বাউন্সও থাকবে। যেখানে অশ্বিনের সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। হাইভোল্টেজ ম্যাচে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তিন স্পিনারের কম্বিনেশন হলে, হয়তো জায়গা ছাড়তে হবে শার্দূল ঠাকুরকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + nine =