রিজেন্ট পার্কে বাড়ি থেকে উদ্ধার হল মা, বাবা, মেয়ের ঝুলন্ত দেহ। রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার গঙ্গাপুরী প্রাইমারি স্কুলের উল্টৈাদিকে আবাসন। ১৯৬/১ আবাসনের দোতলায় ব্যবসায়ী বিজয় চট্টোপাধ্যায় ভাড়াটে হিসেবেই পরিবার নিয়ে থাকতেন এই ফ্ল্যাটে। রিজেন্ট পার্ক থানা সূত্রে খবর, রবিবারের এই ঘটনায় রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে খবর,ল’ কলেজের ছাত্রী ছিলেন ওই মেয়েটি।তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, আর্থিক সঙ্কটের জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন এই পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি এও জানা গেছে, ব্যবসায়ী পরিবার এটি। তবে বাড়ির কর্তার ব্যবসায় লোকসান হয়। এরপরই এমন ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে এ খবরও মিলেছে, মাস কয়েক আগে এখানে ভাড়া আসেন বিজয় চট্টোপাধ্যায়।তবে দিন দু’য়েক এই পরিবারের কাউকেই বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। এরপই একটা সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে সবার মধ্এযই। এরইমধ্যে রবিবার আবাসনের অন্যান্য আবাসিকরা সকাল থেকেই পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন। আর তা আশছিল এই চট্টোপাধ্যায় পরিবারের ঘরের দিক থেকেই। এরপর বিজয়বাবুদের দরজায় গিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন প্রতিবেশীরা। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করলেও কোনওরকম সাড়াশব্দ মেলেনি। এরপরই বিজয়বাবুর পড়শিরাই খবর দেন থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ভিতরে ঢুকে পুলিশ দেখে সস্ত্রীক বিজয় চট্টোপাধ্যায় ও মেয়ে ঐন্দ্রিলা চট্টোপাধ্যায়ের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপরই কলকাতা পুলিশের ডিসপোজাল ভ্যান এনে দেহ তিনটি ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।