সিপিআইএম প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হুগলির আরামবাগ ব্লকের তিরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাবাপুর গ্রামে। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন শেষ হতেই মনোনয়ন প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে আরামবাগ সিপিএমের অভিযোগ। শনিবার রাতে তিরোল পঞ্চায়েতের ৯ নম্বর সংসদ থেকে মনোনয়ন জমা দেন সিপিএম প্রার্থী কুহেলি দাস। তার বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এদিন প্রায় ২০-২৫ জন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সিপিএম প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনায় আতঙ্কে সিপিএম প্রার্থী সহ তার পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছয় আরামবাগ থানার পুলিশ। এরপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ৪টি বাইক এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সেই বাইকগুলিকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে তিরোল পঞ্চায়েতের চণ্ডীবাটি গ্রামে সিপিএমের মহিলা প্রার্থী নাসিমা বেগমকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তাকেও মনোনয়ন প্রত্যাহারের হুমকি দেওয়া হয় বাড়িতে গিয়ে। রাতের অন্ধকারে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সিপিএম প্রার্থী নাসিমা বেগমের দেওরের মেরে হাত ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। ঘটনা প্রসঙ্গে আরামবাগ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি স্বপন নন্দী জানান, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই, এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। পাশাপাশি ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ শক্তিমোহন মালিক জানান, আমরা প্রার্থীদের পাশে আছি, প্রশাসনকে বিষয়টা জানাবো। বলা যেতে পারে এই ঘটনায় আতঙ্কে সিপিএমের পঞ্চায়েতের প্রার্থীরা।