নীতিন গড়করিকে প্রাণনাশের হমকি

দাউদ ইব্রাহিমের নাম করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করিকে প্রাণনাশের হুমকি। সূত্রে খবর, শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ এবং তার আরও দশ মিনিট পর ১১টা ৪০ মিনিটে নাগপুরে তাঁর দফতরের ল্যান্ডলাইন নম্বরে দু’টি ফোন আসে। তিনি নিজেই দু’বার ওই ফোন তোলেন। এরপর ফোনের ওপার থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দেয়। দাউদ ইব্রাহিমের  নাম করেই এই খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এরপর গোটা বিষয়টি জানিয়ে নাগপুর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। দ্রুত শুরু হয় তদন্তও। নাগপুর পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ওই অজ্ঞাত পরিচয় নম্বরটি ট্র্যাকিং শুরু হয়। এরপরই তাঁর অফিসের তরফে যোগাযোগ করা হয় স্থানীয় পুলিশ এবং মন্ত্রীর নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত সিনিয়র অফিসারদের। কাল বিলম্ব দেরি না করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এদিকে নীতিনের নিরাপত্তা আরও জোরদার করার নির্দেশ দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা। এরই পাশাপাশি নীতিনের অফিসেও পৌঁছে যান তাঁরা।

এদিকে এনআইএ-র তরফ থেকে দাউদ ইব্রাহিম সম্পর্কে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আনাহয় কিছুদিন আগেই। সেখানে গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে দাবি করা হয়, ফের একবার ভারতে বড় হামলার ষড়যন্ত্র করছেন কুখ্যাত এই ডন। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার হুমকি, এরপর তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্যের দফতরে ফোন করে খুনের হুমকি প্রশ্ন তুলে দিল কুখ্যাত এই ডনের হিটলিস্টে মোদির ক্যাবিনেট কি না তা নিয়েও।

এদিকে দাউদ ইব্রাহিমের নাম করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার হুমকি দিয়ে গত ২৮ নভেম্বর মুম্বই ট্রাফিক পুলিশের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি উড়ো ভয়েস মেসেজ আসে। সেই ভয়েস মেসেজে বলা হয়, ‘দু’জন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যা করবে। ইতিমধ্যেই এই মর্মে সমস্ত পরিকল্পনা করা হয়ে গিয়েছে।’ শুধু অডিও মেসেজই নয়, পাশাপাশি কিছু ডকুমেন্টও পাঠানো হয় মুম্বই পুলিশের ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। এই নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এই রহস্যের কিনারা করে গুজরাত এটিএস। দেখা যায়, এই উড়ো ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছিল ২৮ বছরের অমন সাক্সেনা নামে বম্বে আইআইটির এক পড়ুয়া। এরপর ওই পড়ুয়াকে গ্রেপ্তারও করা হয়। এদিকে এই কুকর্মের পর উত্তরপ্রদেশের বদাউ জেলায় পৈতৃক বাড়িতে গা ঢাকা দেয় সে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বদাউ জেলার আদর্শ নগরে ওই পড়ুয়ার পৈতৃক বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই ২৮ বছরের অমন সাক্সেনা ও তার দুই সঙ্গীকে। অমনের এই দুই সঙ্গী হলেন এক তরুণী এবং দিল্লিনিবাসী এক বন্ধু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − twelve =