এবার পাচারের তালিকায় নাম উঠল হাতিরও

পাচারের তালিকায় নাম ছিল সোনা, বিদেশি মুদ্রা, মাদক, কয়লা ,বালি, পাথর, গোরুর মতো অনেক কিছুই। পাচার হয়েছে মানুষও। তবে এবার বিরাটাকার হাতির নামও জড়ল এই পাচারের তালিকায়। কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ, রাজ্যের প্রায় ২৬ থেকে ২৮ টি হাতি পাচার হয়ে গিয়েছে অন্য দেশে অথবা অন্য রাজ্যে। এদিকে আইন বলছে, হাতি রাজ্য সরকারের সম্পত্তি।

হাইকোর্টে হওয়া ওই মামলায় এমন তিনটি হাতিকে ফেরত চেয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের বক্তব্য হাতি বিক্রি করা যায় না। এমনকী উপহারও দেওয়া যায় না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে এই হাতি কিনছেন কারা তা নিয়েও। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দাবি, সার্কাস কোম্পানি ‘নটরাজ’ তাদের তিনটি হাতি বিক্রি করে দিয়েছিল। পরে তাদের বিহারে এক আশ্রম থেকে পাওয়া যায়। ওই আশ্রম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তারা হাতিগুলি উপহার হিসেবে পেয়েছে। আশ্রমে তাদের যত্নেই রাখা হয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, হাতি কিনে তাদের দিয়ে নানা রকমের কাজ করানো হয়। এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উদাসীনতাও রয়েছে বলে অভিযোগ।

এদিকে আবার বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, কোনও হাতিকে কেনা বা বিক্রি করা যায় না। আর্থিক লাভের উদ্দেশে হাতিকে কারও হাতে তুলেও দেওয়া যায় না। বন্য প্রাণী সুরক্ষা আইনে, সব বন্য হাতিকেই সরকারের সম্পদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সাদা হাতিকে দেওয়া হয় বিশেষ মর্যাদা।

এই ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের ধারনা, এ রাজ্যে একের পর এক সার্কাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে সার্কাসে যে হাতিগুলি থাকত, সেগুলিকে বিক্রি করে দেওয়া হয়ে যাচ্ছে। হাতি যে রাজ্যের হয়ে নথিবদ্ধ থাকে তাকে আর অন্য রাজ্যে বিক্রি করা যায় না। অর্থাৎ হাতি রাজ্যের সম্পত্তি। কিন্তু সে সব আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাতি পাচার হয়ে যাচ্ছে ভিনরাজ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − one =