মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবারে মালদার জয়জয়কার, রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল গাজোলের কৌশিকী

এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফের মালদার পরীক্ষার্থীদের জয়জয়কার। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করল মালদা গাজোল ব্লকের ছাত্রী কৌশিকী সরকার। সে আদর্শবাণী একাডেমী স্কুলের ছাত্রী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। একই সঙ্গে রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে কৌশিকী। এছাড়াও মাধ্যমিকে রাজ্যের চতুর্থ স্থান দখল করেছে মালদা শহরে অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র অভিষেক গুপ্তা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। এছাড়াও ওই স্কুলের ছাত্র শুভজিত বিশ্বাস মাধ্যমিকের দশম স্থান অধিকার করেছে।  তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। পাশাপাশি কালিয়াচকের বেদরাবাদ হাইস্কুলের ছাত্র ফাইজ মাসুদ ৬৮৪  নম্বর পেয়ে এবারে মাধ্যমিকে রাজ্যে দশমিক স্থান অধিকার করেছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে দ্বিতীয় স্থান দখলকারী ছাত্রী কৌশিকী সরকার ৭০০’র মধ্যে ৬৯২ পেয়ে পাড়া-প্রতিবেশীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছে কৌশিকী সরকার। সে বাংলায় পেয়েছে ৯৯, ইংরেজিতে ৯৮, অঙ্কে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসে ৯৬ এবং ভূগোলে পেয়েছে ৯৯।  কৃতি ছাত্রী কৌশিকী সরকারের বাবা মৃণাল সরকার এবং মা চন্দ্রিকা সরকার দুজনেই সরকারি স্কুলের শিক্ষক। গাজোল থানার বিধানপল্লি এলাকার বাসিন্দা কৌশিকী সরকার মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান দখল করার পর, এলাকায় জানাজানি হতেই সকাল থেকেই পাড়া-প্রতিবেশীরা তার বাড়িতে ভিড় করতে শুরু করেন। অনেকে মিষ্টিমুখ করাতে ছুটে আসেন কৃতি ছাত্রী কৌশিকির বাড়িতে। তার স্কুলের শিক্ষক -শিক্ষিকারাও বাড়িতে এসে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

কৌশিকী সরকার বলেন, তার পড়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা ছিল না। যখন মনে হত তখনই সে বই নিয়ে পড়তে বসে যেত। টিভিতে কার্টুন আর গান শোনার শখ রয়েছে কৌশিকীর। তবে আগামীতে সে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে মেডিক্যাল নিয়ে পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে ডাক্তার হবার স্বপ্ন রয়েছে কৌশিকী সরকারের।

অন্যদিকে মালদা শহরের কৃষ্ণপল্লি এলাকার বাসিন্দা অভিষেক গুপ্তা এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান দখল করেছে।  সে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ছাত্র। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। সে বাংলায় পেয়েছে ৯৯,  ইংরেজিতে ৯৭, অংকে ১০০, ভৌত বিজ্ঞানে ১০০, জীবন বিজ্ঞানে ৯৯,  ইতিহাসে ৯৬ এবং ভূগোলে ৯৯ পেয়েছে।  অভিষেকের বাবা শিবশান্ত গুপ্তা মালদার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। এবং মা অনামিকা গুপ্তা মালদার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। কৃতি ছাত্র অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, বাবা ও মায়ের পাশাপাশি স্কুল এবং গৃহশিক্ষকের সহযোগিতা নিয়ে সে এবারে ভালো ফল করেছে। ভবিষ্যতে তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + twelve =