কলকাতা : রাজনীতিকদের জন্যই পশ্চিমবঙ্গের এই অবস্থা৷ যদিও বাংলার মানুষ বিষয়টিকে বেশিদিন মেনে নেবে না৷” রাজ্যপালের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয় রাজভবনের তরফে৷ তাতেই তিনি এই মন্তব্য করেন।
শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ চারাগাছ রোপণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় । তারপরে চিত্র প্রদর্শনী এবং বসে আঁকো প্রতিযোগিতার সূচনাতে তাঁর এক মূর্তির অনুষ্ঠানিক উন্মোচন করা হয়। বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানের পর তাঁর অভিজ্ঞতা জানিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল৷ দু’বছরের অভিজ্ঞতাকে ‘অম্ল মধুর’ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি৷ বলেন, “বাংলার মানুষ ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ৷ কিন্তু রাজ্য রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি খুব খারাপ৷”
শনিবার সকাল ১০টায় প্রদর্শনী ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতার পর বেলা ১২টায় বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে বেশকিছু জিনিসপত্র বিতরণ করা হয়। বিকেল ৫টায় রাজভবনের ভিতরেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে৷ অনুষ্ঠানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মমতা শঙ্কর, পূর্ণদাস বাউলের মতো বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত থাকার কথা৷
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রায় ২০০ জনকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় রাজভবনের তরফে৷ সেই তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং রাজনৈতিক কোনও নেতার নাম নেই বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের দাবি, রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদাধিকারী৷ তাই তিনি রাজনীতির বাইরে থাকতে চাইছেন।