২০০২ সালের যে গুজরাত দাঙ্গা (Gujarat Riots) ভারতের ইতিহাসে কলঙ্কময় অধ্যায় হিসাবে চিহ্নিত, দু’দশক বাদে সদর্পে সেই ঘটনাকে ঘুরিয়ে নিজেদের কৃতিত্ব বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah)। ভোটমুখী গুজরাতের এক জনসভায় দাঁড়িয়ে শাহ সগর্বে বলে দিলেন, ‘কংগ্রেস আমলে যে সব সমাজবিরোধীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, ২০০২ সালে আমরা তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছি।’
রাজ্যে অশান্তির জন্য বিরোধী কংগ্রেসের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। গুজরাতেরও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ বলেন, ‘রাজ্যে কংগ্রেস আমলে (১৯৯৫ সালের আগে) প্রায়ই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং হানাহানি হত।’ সমাজের বড় অংশের প্রতি উদাসীন থেকে একটা ছোট অংশকে ভোটব্যাংকের স্বার্থে কংগ্রেস ব্যবহার করত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শাহের কথায় এসেছে গুজরাত হিংসার প্রসঙ্গও। তাঁর দাবি, কিছু অপরাধী কংগ্রেসের কাছ থেকে দীর্ঘ দিন সমর্থন পেয়েছে এবং এরাই হিংসায় মদত জুগিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ২০০২ সালের পর এই অপরাধীরা হিংসার পথ থেকে সরে গিয়েছে। এই সরে যাওয়ার ব্যাখ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অপরাধীরা বুঝে গিয়েছে অশান্তি করার চেষ্টা করলে রাজ্যের বিজেপি সরকার কড়া পদক্ষেপ করবে।
শাহর দাবি, কংগ্রেসের পৃষ্ঠপোষকতায় দাগী অপরাধীদের জন্ম হচ্ছিল গুজরাতে। সেকারণেই ২০০২ সালে দাঙ্গা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু ২০০২ সালে উচিত শিক্ষা পাওয়ার পর ওরা অপরাধের পথ ছেড়ে দিয়েছে। ২০০২ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ওরা আর কোনও অপরাধ করছে না। যারা সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াত তাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়ে গুজরাতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরা-পরবর্তী হিংসায় গুজরাতে বহু মানুষ হতাহত হন। রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। এই অশান্তিতে গণধর্ষিতা হন বিলকিস বানো। তাঁর সদ্যোজাত সন্তানকে আছাড় মেরে হত্যা করা হয়।