গাজায় যুদ্ধবিরতির আগে কোনও বন্দি বিনিময় হবে না। কায়রোতে হামাস, মিশর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে যখন আলোচনা চলছে, তখনই এমন মন্তব্য করলেন প্যালেস্তিনীয় স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের নেতা ওসামা হামদান। কায়রোতে হামাস, মিশর ও কাতারের কর্মকর্তাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে আলোচনায় কোনও অগ্রগতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, মঙ্গলবার লেবাননের রাজধানী বেইরুটে এক সাংবাদিক বৈঠকে সম্মেলনে হামদান যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য তাঁর দলের শর্ত ফের উল্লেখ করেন। এগুলো হল, ইজরায়েলের সামরিক হামলার সমাপ্তি, গাজা ভূখণ্ড থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং গাজার অন্য অংশে পালিয়ে যাওয়া বাস্তুচ্যুত প্যালেস্তিনীয়দের তাদের বাড়িতে ফিরতে দেওয়া। হামদান বলেন, গত দুই দিনে কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীদের রাখা প্রস্তাবের ক্ষেত্রে হামাস তার অবস্থান জানিয়েছে। যুদ্ধবিরতির জন্য আমরা আমাদের শর্ত ফের জানিয়েছি।
এদিকে যতদিন যাচ্ছে গাজায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী এই সংখ্যা ৩০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই মহিলা ও শিশু। কয়েকদিন আগেই এই নিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছে পেন্টাগন। জানা গিয়েছে, গাজায় এখনও পর্যন্ত কতজন মহিলা ও শিশু প্রাণ হারিয়েছে তা নিয়ে হাউস কমিটি অন আর্মড সার্ভিসেসের একটি শুনানিতে আইন প্রণেতারা প্রশ্ন করেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনকে। যার উত্তরে তিনি বলেন, সংখ্যাটা ২৫ হাজারেও বেশি।