বেশ ছিল চাষি চাষ করে, কাল হল কেষ্ট-কে ফোন করে 

সুদীপ মহাপাত্র

বড্ড কষ্ট করে সাত হাজার টাকা খরচ করে সিবিআই-এর ডাকে হাজির হল এক কৃষক। বড় নেতা, ছোট নেতা, বিভিন্ন দলের নেতা, ডাক্তারের পর এবার বাদ পড়ল না সাধারণ কৃষকও। সিবিআইয়ের প্রশ্নের জেরার মুখে এবার সাধারণ চাষি। অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করায় সিবিআইয়ের ডাক পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুর চন্দ্রকোনার চাষি অমিত ঘোষের। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের এনআইটি-র সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করা হয় তাকে। বীরভূম জেলার তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ফোনলিস্ট দেখেই তাকে তলব করে সিবিআই। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, তিনি একজন সাধারণ কৃষক। শুধুমাত্র কৌতূহল বশত তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেন তিনি। তাঁর আর কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তবে তাঁর এই ফোন যে তাকে বিপাকে ফেলবে সে নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবনা ছিল না তার। তার বক্তব্যের সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের দায়িত্বে যারা, তারা নিশ্চয় বিষয়টি দেখবেন। তবে, নেহাতই কৌতূহল বশত ফোন! অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। ক্রাইম ডিটেকশনের রুট থিওরি অবলম্বন করছে তদন্তকারী সংস্থা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং যার তদন্ত চলছে, প্রকাশ্যে বিভিন্ন মানুষ বা প্রত্যক্ষদর্শীদের জেরা করা এক প্রকার মেন্টাল হাম্মেরিং বলেও পরিচিত রীতি। যারফলে অনেক সময় অভিযুক্ত মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন। এদিকে প্রকাশ্যে অমিতবাবুর মন্তব্যে সাড়া পড়েছে বিভিন্ন মহলে। অন্যদিকে, এদিন ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের উলকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শামসুল আলম মল্লিককে তলব করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পে হাজিরা দিতে আসেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভোট-পরবর্তী হিংসায় অনুব্রত মণ্ডলের কল লিস্ট ধরে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, তৃণমূল নেতা ও চিকিৎসকদের বিগত কয়েকদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তলব করা হয় একজন কৃষক ও বীরভূম ময়ুরেশ্বরের ২ নম্বর ব্লকের উলকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 1 =