মঙ্গলবারই দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন, সদ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হওয়া অরুণ গোয়েলের নিয়োগের ফাইল দেখতে চাইল বিচারপতি কেএম জোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। বিচারপতি জোসেফ জানিয়েছেন, তাঁরা দেখতে চান, অরুণ গোয়োলের নিয়োগে কোনও গন্ডোগোল নেই তো? কারণ তাঁকে স্বেচ্ছাবসর দিয়ে অবিলম্বেই এই পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবারও এই মামলার শুনানি চলবে।
এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের শুনানি চলাকালীন অরুণ গোয়েলের নিয়োগের কথা উল্লেখ করেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অরুণ গোয়েল সচিব স্তরের আধিকারিক হিসেব কাজ করছিলেন। আচমকা শুক্রবার তাঁকে স্বেচ্ছাবসর দিয়ে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করা হল। নাহলে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর তিনি অবসর নিতেন।’ এরপরই আদালত অরুণ গোয়েলের নিয়োগের ফাইল দেখতে চায়।
সরকার পক্ষের দাবি, ‘ভারতের সংবিধান মেনে এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখা হয় না। বর্তমানে মন্ত্রী পরিষদের সহায়তায় ও পরামর্শে দেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হয়।’ যদিও কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের একাধিক সিদ্ধান্তের পিছনে কেন্দ্রের অদৃশ্য অঙুল দেখে থাকে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে থাকে কমিশন ও কেন্দ্র। উলটে বলা হয়, একশো শতাংশ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে কমিশন।