নয়াদিল্লি, ১৪ জুন: রাজস্থানের কোটায় আত্মহত্যার ঘটনাগুলির সঙ্গে এবারের নিটের ফলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নিটে (সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা) অনিয়মের অভিযোগে তোলপাড় গোটা দেশ। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে আদালত কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় এখনই স্থগিতাদেশ দিতে চাইছে না।
নিটে প্রশ্নপত্র ফাঁস-সহ একাধিক অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে সাতটি মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার সেই সব মামলার শুনানিতে বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার অবসরকালীন বেঞ্চে নিটে অনিয়মের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানানো হয়। তবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আগে সব পক্ষের জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিনের শুনানিতে আবেদনকারীর পক্ষ থেকে কোটায় আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়। এ ব্যাপারে বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারীকে জানায়, ‘এই মামলায় অযথা আবেগতাড়িত হয়ে সওয়াল করা উচিত নয়। নিটের ফলাফলের সঙ্গে কোটায় আত্মহত্যার ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই।’
সিবিআই তদন্তের আবেদনের ওপর নোটিস জারি সুপ্রিম বেঞ্চ বলেছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে (এনটিএ) জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আদালতের তরফে আবেদনকারী এবং কেন্দ্র সরকারকেও নোটিস জারি করা হয়েছে। যার জবাব আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
ডাক্তারির সর্বভারতীয় এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে ইতিমধ্যেই কাউন্সেলিংয়ের দিন নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য সেই প্রক্রিয়ায় কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি। কাউন্সেলিং পূর্বনির্ধারিত সময় মেনেই চলবে। পরীক্ষা নতুন করে হলে তাতেও কোনও বাধা পড়বে না বল আদালতের তরফে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিটে একসঙ্গে ৬৭ জন প্রথম স্থান অধিকার করায় দেশজুড়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। পরে জানা যায়, প্রশ্নপত্র এবং কিছু পরীক্ষাকেন্দ্রে সময়জনিত সমস্যার জন্য ১৫৬৩ জনকে বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু র্যাঙ্কিং নিয়ে বিতর্ক হতেই এই বাড়তি নম্বরের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও সরব হয়।