ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তিতে দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন। বৃষ্টি কবে নামবে তারই দিন গুনছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষজন। তবে বুধবার রাতে বজ্রবিদ্যুৎ ও ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে কয়েক পশলা বৃষ্টি হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফিরেছে সেই চেনা গরম। যদিও আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে বৃহস্পতিবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিল।
আলিপুরের তরফে জারি করা বুলেটিন অনুযায়ী, ১২-১৬ জুনের মধ্যে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। যদিও ১২-১৪ জুন, এই সময়টার মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ থেকে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে বৃহস্পতিবার চরম তাপপ্রবাহের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। অন্যদিকে উষ্ণ এবং আদ্রতায় ভরা আবহাওয়া থাকবে হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূম জেলায়। এদিকে তাপপ্রবাহ বইবে বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। আজ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। তাপপ্রবাহের পাশাপাশি এদিন বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলায়। তবে এরই মাঝে স্বস্তির খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। শুক্রবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গে। উইকএন্ডে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও ঝড়ের পরিমাণ বাড়বে।
সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় ১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬১-৮৭ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ৩০-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের ভারী বৃষ্টির দাপটে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে। এছাড়া অত্যাধিক ভারী বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায়। বাকি জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা রয়েছে।
এদিকে বর্ষার আগমন কবে ঘটবে সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। জানা যাচ্ছে, আগামী ২০ জুন মৌসুমী অক্ষরেখা কিছুটা দক্ষিণের দিকে সরতে চলেছে বলে এখনও পর্যন্ত আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।