দেশের ছোট-বড় ২৫টি রাজনৈতিক সংগঠন রবিবার নতুন সংসদের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন। যদিও বিরোধী শিবির বলছে, এই দলগুলির অধিকাংশের বিশেষ গুরুত্ব নেই। আর যাঁদের আছে, তাঁরাও রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার জন্য মোদির পাশে দাঁড়াচ্ছেন। উল্লেখ্য, নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছে কমবেশি ২০টি বিরোধী দল। সংসদের উদ্বোধন ঘিরে বিরোধীদের এই অপ্রত্যাশিত জোট খানিকটা হলেও চাপে ফেলে দিয়েছিল বিজেপিকে (BJP)। কিন্তু এবার শাসকদলও পালটা পদক্ষেপ করল।
বিজেপি সূত্রের খবর, রবিবার সংসদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এনডিএ জোটের সব শরিক দল অংশ নেবে। এর মধ্যে রয়েছে জেজেপি, এআইএডিএমকে, আইএমকেএমকে, এজেএসইউ আরপিআই, এমএনএফ, তামিল ম্যানিলা কংগ্রেস, বোড় পিপলস পাটি, আইপিএফটি, পিএমকে, এমজিপি, এজিপি, আপনা দল এবং সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা। তবে এদের বাইরে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দলও রবিবারের অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে। এঁদের অধিকাংশই বিজেপির পুরনো বন্ধু তথা এনডিএ-র (NDA) পুরনো শরিক। এই তালিকায় নাম আছে চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি, প্রয়াত রামবিলাস পাসওয়ানের লোকজনশক্তি পার্টি, বাদলদের শিরোমণি অকালি দল, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি, জগন্মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি।
আসলে এই দলগুলির অধিকাংশই নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তাই বাধ্য হয়েই নিজেদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই দলগুলি গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝুঁকছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।