হাওড়া: চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন হাওড়ার লিলুয়াতে অবস্থিত ধীরেন্দ্র অ্যপার্টমেন্ট, ৪৩/২- রবীন্দ্র সরণীর বহুতল আবাসনের বেআইনি অংশটি ভেঙে ফেলতে হবে। সেইমতো বৃহস্পতিবার রাতেই পুর নিগম ও লিলুয়া থানার তরফ থেকে নোটিস টাঙানো হয়। যদিও শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত সেই কাজ করতে পারেনি নিগম। তবে শনিবার সকাল থেকেই বহুতল আবাসনের বেআইনি অংশটি আদালতের নির্দেশে ভাঙার কাজ শুরু করে হাওলা পুর নিগম। কাজে যাতে অসুবিধে না হয়, বাধা যাতে না আসে সেজন্য সেখানে ছিল লিলুয়া থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বহুতলের প্রোমোটারের লোকজন ও আবাসিকরা শুক্রবার কাজে বাধা দিয়েছিল। শনিবারও বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়। তবে এদিন বশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করে বেআইনি অংশ ভাঙা শুরু করা হয়।
প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ‘বেআইনি নির্মাণ কোনও ভাবেই বরদাস্ত নয়। আমার নিজের বাড়ি বেআইনি হলেও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিন,’ হাওড়ার বেআইনি নির্মাণ মামলাতে বলেছিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলাতেই প্রোমোটার পার্থ ঘোষ ও লিলুয়া থানার আধিকারিককে বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ মতো হাজিরা দিতে হয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে।
এই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। প্রথমে ওই নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় বহাল রাখেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর বালি পুরসভা ওই নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়। পুলিশের সাহায্য ছাড়া ওই নির্মাণ ভাঙা সম্ভব নয় বলে জানায় তারা। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, তাঁর বাড়িও হাওড়াতেই। সেই বাড়ির নির্মাণে যদি কোনও গলদ পাওয়া যায়, তবে সেটিও ভেঙে দিতে হবে। বেআইনি নির্মাণ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।