তৃণমূলের দিল্লি যাত্রাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতি

একশো দিনের বকেয়া আদায় করতে তৃণমূলের তরফ থেকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে দিল্লিতে পৌঁছেছে জোড়াফুল শিবিরের নেতারা। লক্ষ্য রাজধানীতে ঝড় তোলার। তবে তৃণমূলের এই দিল্লি যাত্রাকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল সমাজকর্মীদের সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতি। একশো দিনের কাজ নিয়ে তাদের তরফ থেকে যে বিবৃতি জারি করা হয়েছে তাতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি কি অস্বীকার করা যায় কি না তা নিয়ে। কারণ, বিবৃতিতে অভিযোগ তোলা হয়েছে , স্থানীয় স্তরে দলের মদতে হয়েছে দুর্নীতি। এই দুর্নীতির কথা জেলা প্রশাসনের নজরে আসার পরেও জেলাশাসক-বিডিও-রা সক্রিয় হননি বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে এই বিবৃতিতে। একশো দিনের কাজে গ্রামবাসীরা যে কাজ করছেন বাস্তবে তার কোনও প্রমাণ নেই বলেও দাবি করা হয় এই বিবৃতিতে।

পাশাপাশি ক্ষেতমজুর সমিতির তরফ থেকে তোলা হয়েছে আরও বেশ কিছু প্রশ্ন। যেমনস স্বচ্ছতা বজায়ে পে-স্লিপ কেন নেই বা কেন্দ্র টাকা আটকানোর পর জেলা স্তরে এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি কাউন্সিলে ওমবাডসম্যান নিয়োগ হয়েছে কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন রাখা হয়েছে এই বিবৃতিতে। পাশাপাশি অভিযোগ করা হয়েছে, জব কার্ডের দখল নিয়ে রেখেছে, পঞ্চায়েত আধিকারিক অথবা স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

এখানে বলে রাখা শ্রেয়, মনরেগার বিকল্প হিসাবে ২১ জুলাই ‘খেলা হবে ’ দিবস ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একজনও সেই প্রকল্পে কাজ পেয়েছেন কি না  এই প্রশ্নও তোলা হয়েছে খেতমজুর সমিতির এই বিবৃতিতে। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেতমজুর সমিতির নেত্রী অনুরাধা তলোয়ার জানান, ‘একেবারে নীচু স্তরে তৃণমূলের নেতৃত্ব এই দুর্নীতিকে সমর্থন করছে। সেখান থেকে তাঁদের প্রফিটও আসছে। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ দুর্নীতি করছে, তার জন্য সবার টাকা বন্ধ করে দিল, এটা কোথাকার নিয়ম? দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষমতায়নে নজর দিতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − two =