জ্বরের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার প্রবণতা বাড়ছে। তাই ওষুধের বিক্রিতে লাগাম টানতে চাইছে ব্রিটিশ সরকার। আগামী আড়াই বছরের মধ্যে দেশের আত্মহত্যার সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করেছে ঋষি সুনাকের প্রশাসন। সেই কারণেই ওষুধ বিক্রি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। কীভাবে দেশজুড়ে আত্মহত্যার ঘটনা বন্ধ করা যায়, সেই জন্য নতুন গাইডলাইনও প্রকাশ করতে চায় ব্রিটেনের সরকার।
২০১৮ সালে প্রকাশিত ব্রিটেনের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, জ্বরের ওষুধ অর্থাৎ প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়েই সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলছেন সাধারণ মানুষ। তার জেরে লিভার বিকল হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন তাঁরা। প্রতি বছর অন্তত ৫ হাজার মানুষ এইভাবে আত্মঘাতী হন বলেই দাবি করা হয় ওই সমীক্ষায়।
এই সমীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতেই ওষুধের বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে ব্রিটিশ সরকার। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, প্যারাসিটামলের একটি পাতায় ১৬টি ওষুধ থাকে। ৫০০ মিলিগ্রাম ওষুধের এরকম দু’টি পাতা একসঙ্গে কিনতে পারেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তাতেও আত্মহত্যার ঘটনা কমছে না বলেই জানতে পেরেছে ব্রিটিশ প্রশাসন।
এহেন পরিস্থিতিতে আগামী আড়াই বছরের মধ্যে দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর কর্মসূচি নিয়েছেন ব্রিটিশ মন্ত্রীরা। সেই জন্যই নতুন করে আত্মহত্যা রোখার কৌশল প্রকাশ করতে চাইছে সরকার। দশ বছরে এই প্রথমবার আত্মহত্যা রোখার জন্য নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করতে চাইছে প্রশাসন। সেই জন্যই চিকিৎসক মহলের মতামত জানতে চেয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সরকার প্যারাসিটামলের বিক্রি আরও কমিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় রাশ টানতে চাইছে। চিকিৎসকদের মতামত জানার পরেই ব্রিটেনে প্যারাসিটামল কেনায় কড়াকড়ি শুরু হতে পারে।