প্রথম ম্যাচ থেকেই সমস্যা তৈরি করেছিল বৃষ্টি। প্রথম ম্যাচের ফয়সালা হয়েছিল ডাকওয়ার্থ লুইসে। মাত্র ২ রানে জিতেছিল ভারত। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অনবদ্য একটা ম্যাচ। সিরিজও নিশ্চিত করেছিল ভারত। তৃতীয় ম্যাচে নানা বিষয়ে নজর ছিল। বিশেষ করে কয়েক জনকে ম্যাচ প্র্যাক্টিসের সুযোগ করে দেওয়া। কিন্তু বৃষ্টিতে টসই করা গেল না। ভারতীয় সময় অনুযায়ী ৯.১৫-এর মধ্যে খেলা শুরু করা গেলেও পুরো ম্যাচ হত। এরপর শুরু হলে ওভার কমত। সকলেই প্রত্যাশায় ছিলেন সংক্ষিপ্ত হলেও ম্যাচ হোক। কিন্তু অপেক্ষার অবসান হল না। তৃতীয় ম্যাচটি ভেস্তে যাওয়ায় ভারত সিরিজ জিতল ২-০ ব্যবধানে। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা দশটি সিরিজ জয় ভারতের। আয়ার্ল্যান্ড সফরের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ভারত। হারের মধ্যেও বেশ কিছু প্রাপ্তি ছিল। তার মধ্যে অন্যতম তিলক ভার্মা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজে ভারতের সর্বাধিক রান সংগ্রহ তাঁরই। আয়ার্ল্যান্ড সফরে বেশির ভাগই তরুণ ক্রিকেটারকে পাঠানো হয়েছে। ছিলেন তিলকও। এই সিরিজে প্রথম দু-ম্যাচে সাফল্য পাননি তিলক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্স এবং তাগিদ পছন্দ হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের। বোলিংও করতে পারেন। অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই বলেছিলেন, তিলককে বিশ্বকাপের জন্য ভাবা হোক। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে তাঁকে। প্রথম বার ওয়ান ডে দলে ডাক পেয়েছেন। তৃতীয় ম্যাচটি হলে বাড়তি নজর থাকত তিলকের দিকে। জসপ্রীত বুমরা, প্রসিধ কৃষ্ণারা চোট সারিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেছেন। তাঁদের ফিটনেস নিয়ে স্বস্তি দিয়েছে। এশিয়া কাপে আরও প্রস্তুতির সুযোগ পাবেন বুমরা, প্রসিধ। বিশ্বকাপের জন্য পুরোদমে তৈরি হয়ে উঠতে পারবেন। তবে এশিয়ান গেমসের স্কোয়াডে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের অনেকেই ম্যাচ প্র্যাক্টিস পেলেন না। তৃতীয় ম্যাচে হয়তো সুযোগ দেওয়া হত কিপার ব্যাটার জীতেশ শর্মাকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বিধ্বংসী পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছেন। তাঁকে ভবিষ্যতের ফিনিশার মনে করা হচ্ছে। এর জন্য সুযোগ দেওয়া জরুরি। সেটা অবশ্য হল না।