সিরিজ শুরুর আগে ইংল্যান্ড শিবিরে যে আত্মবিশ্বাস দেখা গিয়েছিল, তা যেন ধীরে ধীরে উধাও। বেন স্টোকস টেস্ট অধিনায়ক এবং ব্রেন্ডন ম্যাকালাম কোচ হওয়ার পর থেকে নতুন ঘরানা আমদানি করেছে ইংল্যান্ড। টেস্টেও বিধ্বংসী ব্যাটিং করছে তারা। যা বাজবল বলা হচ্ছে। হারের ঝুঁকি থাকলেও এই পরিকল্পনায় সাফল্য মিলছিল। অ্যাসেজ সিরিজের আগেও ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস জানান, এই সিরিজের জন্য পরিকল্পনায় কোনও বদল হবে না। এজবাস্টনে প্রথম ম্যাচে হার, লর্ডসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাকফুটে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার ৪১৬ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩২৫ রানে। ২৭৯-৪ থেকে মাত্র ৩২৫ রানেই অলআউট হয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড শিবিরের কাছে বড় অস্বস্তি। প্রথম ইনিংসে ৯১ রানের লিড নেয় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে উসমান খোয়াজা-ডেভিড ওয়ার্নার জুটি সতর্ক শুরু করে। ওপেনিং জুটিতে যোগ হয় ৬৩ রান যোগ করে তারা। জুটি ভাঙেন ইংল্যান্ডের তরুণ পেসার জশ টং। উসমান খোয়াজা প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন। লর্ডসে দ্বিতীয় ইনিংসে ভরসা দিলেন। মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গে যোগ করেন আরও ৬০ রান। ইংল্যান্ড শিবিরে যেন পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা কখন ভুল করবেন, সেই অপেক্ষায়। তাদের অস্বস্তি হয়তো আরও বাড়তে পারত। বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই খেলা বন্ধ হয়। অর্ধশতরান করে ক্রিজে রয়েছেন উসমান খোয়াজা (৫৮)। সঙ্গে স্টিভ স্মিথ (৬)। তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১৩০-২। সব মিলিয়ে তারা এগিয়ে ২২১ রানে। ম্যাচের এখনও দু-দিন বাকি। অস্ট্রেলিয়া যদি কাল দ্রুত রান তুলে ৩৫০-এর মতো লক্ষ্য দেয়, সিরিজে ২-০ এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদি না বৃষ্টি বড় রকমের বাধা হয়ে দাঁড়ায়।