জানেই না টেকনিক্যাল কমিটি! কোচ বাছাইয়ের পরই পদত্যাগ বাইচুংয়ের

ভারতীয় ফুটবলে ফের বিতর্কের পরিস্থিতি। টানা ব্যর্থতার জেরে কিছুদিন আগেই বিদায় করা হয়েছিল ইগর স্টিমাচকে। ক্রোয়েশিয়ান কোচের পরিবর্ত কে হবেন, এ নিয়ে চলছিল জল্পনা। প্রক্রিয়া চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এ দিনই ঘোষণা করা হয়েছে মানোলো মার্কোয়েসের নাম। এখানেই বিতর্ক। তিনি ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্লাব এফসি গোয়ার কোচ। তাঁর সঙ্গে ক্লাবের এখনও চুক্তি রয়েছে। এর মধ্যেই ভারতীয় দলের কোচ হয়েছেন। ক্লাবের পাশাপাশি ও ভারতীয় দলেরও কোচিং করাবেন মানোলো মার্কোয়েস। একসঙ্গে দুই ভূমিকা কী ভাবে সম্ভব? এ বিষয়ে নিজের যুক্তি রেখেছেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। যদিও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান আইএম বিজয়ন এবং সদস্য বাইচুং ভুটিয়া বলছেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কোচ নিয়োগের ক্ষেত্রে সব সবসময়ই টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হয়। তাদের মত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কিছুই হয়নি। টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান আইএম বিজয়নের অনুপস্থিতিতেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে! এমনকি তাঁর সঙ্গে ভার্চুয়ালিও কোনও আলোচনা হয়নি বলে খবর। কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তুষ্ট ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য বাইচুং ভুটিয়া। পুরো ঘটনায় তিনি তাজ্জব বলে জানিয়েছেন।

এই ঘটনার জেরে টেকনিক্যাল কমিটি থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বাইচুং ভুটিয়ার। টিভি নাইন বাংলাকে ফোনে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বাইচুং বলেন, ‘কোচ নিয়োগের একটা প্রক্রিয়া থাকে। এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে টেকনিক্যাল কমিটির। আমি অতীতে টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। সে সময় কোচ নিয়োগের ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কমিটিই সিদ্ধান্ত নিত। কিন্তু এ বার আমাদের এড়িয়ে ফেডারেশন সভাপতি এমন সিদ্ধান্ত নিলেন। আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই হয়নি। টেকনিক্যাল কমিটির যদি ভূমিকাই না থাকে, এই কমিটির কী প্রয়োজন!’

একই সঙ্গে ক্লাব এবং জাতীয় দলের কোচিং করানো আদৌ কি সম্ভব? বাইচুং যোগ করেন, ‘পুরোটাই টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। সেটা হয়নি। তো আমি কী বলব।’ ফেডারেশন সভাপতি বিদেশি ফুটবলের উদাহরণ টেনে বলেছেন এটা সম্ভব। সেই প্রসঙ্গে বাইচুং বলছেন, ‘এখনকার ফুটবলে যে কোনও একটা দিক সামলানোই বেটার। দুটো একসঙ্গে হয় না। অতীতে কী হয়েছিল জানা নেই। এতে শুধু জাতীয় দলেরই নয়, ক্লাবেরও সমস্যা হবে। টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান বিজয়নের সঙ্গেও আলোচনা হয়নি। ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বিজয়ন মিটিয়ে ছিল না। অন্যভাবেও কথা হয়নি ফেডারেশনের সঙ্গে। ও কিছু নাম বলেছিল, সেগুলো নিয়েও আলোচনা হয়নি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + 13 =