এক দিকে, ধারাবাহিক পতন আটকানো যাচ্ছে না। অন্য দিকে, ধারাবাহিক উন্নতি রোখা যাচ্ছে না। পতন আর উত্থানের গল্পে এ বার ঢুকে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে পতন থাকে, সেখানে উত্থান হয় কী করে? ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে ভারতীয় ফুটবল টিমের পতন হয়েই চলেছে। একের পর এক টুর্নামেন্টে হার। তাও বিপুল টাকা মাইনে কী করে পান ভারতীয় টিমের কোচ ইগর স্টিমাচ? পারফরম্যান্স কেন খারাপ, কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি জবাব চাইল ক্রোয়েশিয়ান কোচের কাছে। শুধু তাই নয়, সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও কারণ দর্শাতে বলা হল ব্যর্থতার। যা পরিস্থিতি, তাতে ইগরের পক্ষে নিজের চাকরি বাঁচানো কঠিন। এমনও শোনা যাচ্ছে, যুবভারতীতে ৬ জুন যদি কুয়েতের বিরুদ্ধে জেতাতে না পারেন, পদত্যাগ করবেন ইগর।
প্রতি মাসে ২৫ লক্ষ টাকা মাইনে পান স্টিমাচ। শুরুতে ক্রোট কোচের এই মাইনে দিত সাই। কিন্তু ভারতীয় টিমের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ার পর এ নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। বিদেশি কোচের বিপুল মাইনের বোঝা বইতে রাজি হয়নি সাই। নতুন চুক্তির পর ফেডারেশনই এখন ইগরকে পুরো মাইনে দেয়। তাতেও জবাব চাওয়ার অধিকার আছে সাইয়ের। কারণ, এসিটিসি বা অ্যানুয়াল কম্পিটিশন অ্যান্ড ট্রেনিং ক্যালেন্ডারের জন্য বিদেশে ট্রেনিং, টুর্নামেন্ট এবং অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয় সমস্ত খেলাকেই। সাই তাই নিয়মিত পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখেও। সেই নিরিখে গত নভেম্বরে কুয়েতকে হারানো ছাড়া ভারতীয় টিমের বলার মতো পারফরম্যান্স নেই। এশিয়ান গেমস, কিংস কাপ, মারডেকা কাপ, এশিয়ান কাপে চরম ভরাডুবি হয়েছে টিমের। তার পরও বহালতবিয়তে থেকে গিয়েছেন স্টিমাচ।
ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তানের কাছে সুনীলদের ১-২ হারের পর থেকে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে স্টিমাচের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ভারতীয় টিমকে সাফল্য দেওয়া ছাড়া সব করেছেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ। এমনকি, ফেডারেশনের প্রবল সমালোচনাও করেছেন। এমন নিষ্ফলা কোচকে বয়ে বেড়ানো কেন, তা নিয়ে সাই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ফেডারেশনকে যার জবাব দিতে হবে।