পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করে অধাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট যাতে হয়, সেই আর্জি নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির দ্বারস্থ শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের একটি সংগঠন। ৮২২ কোম্পানি অর্থাত ৮২ হাজারের কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট করাতে হবে রাজ্যে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ ছিল সুপ্রিম কোর্টেরও। কিন্তু সেই নির্দেশ মেনে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি। ভোট কেন্দ্র করে অশান্তি হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও সেই আশঙ্কা থাকছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দিল জানাল শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের একটি সংগঠন। সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৮২২ কোম্পানির বদলে আপাতত ৩৩৭ কোম্পানি পাঠিয়েছে। তা নিয়েই ভোটের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় কমিশন। প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া চিঠিতে এই সংগঠন দাবি করেছে, একদফার ভোটে ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী পর্যাপ্ত নয়।
জানা গিয়েছে, চিঠিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিরুদ্ধে নালিশ করা হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ভোটে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে পদক্ষেপ করছে না কমিশন। পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করছে না নির্বাচন কমিশন। এই অবস্থায় ভোটের কাজে তারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। বাহিনীর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ চেয়ে শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছে তারা। চিঠিতে আর্জি, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ভোটের লক্ষ্যে আদালতের নির্দেশ যাতে মানা হয়, তা নিয়ে হস্তক্ষেপ করুন প্রধান বিচারপতি।
পঞ্চায়েত ভোট ৮২ হাজারের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। রাজ্য এবং কমিশনের মামলা খারিজ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টও। এর পরে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠায় কমিশন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এখনও পর্যন্ত ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে পাঠিয়েছে। বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে তারা এখনও স্পষ্ট কিছু জানায়নি। কমিশনও বাহিনী বিষয়টি নিয়ে নীরব। তারা জানিয়েছে, বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রের কাছে বার বার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।