নিজস্ব প্রতিবেদন, রানিগঞ্জ: শনিবার রানিগঞ্জ বয়েজ হাইস্কুলের শিক্ষক বিজয় দাসের বিরুদ্ধে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধর ও আঙুল ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।
ঘটনার বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতীম চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ২০১৪ সালে বিজয় দাস স্কুলে নিয়োগ হওয়ার পর থেকেই তিনি এবং তাঁর স্ত্রী পাপিয়া মণ্ডল স্কুলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছেন। বিজয় দাস এমন আচরণ করেন যে তিনিই স্কুলের সর্বেসর্বা, বিজয়বাবু যখন-তখন স্কুলের প্রতিটি শিক্ষককে গালিগালাজ করেন, পড়াশোনা সংক্রান্ত কোনও কাজ দিলেও করেন না। এদিনও তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রী পাপিয়া মণ্ডলকে ক্লাস করতে বলা হলে বিজয়বাবু ধাক্কা দিয়ে আঙুল ভেঙে দেন তাঁর বলে অভিযোগ।
প্রতীমবাবুর আরও দাবি, বিজয় দাস স্কুলের পরিবেশ এতটাই নষ্ট করেছেন যে, ২০১৭ সালে তিনি স্কুলের কিছু শিক্ষককে আক্রমণ করার জন্য স্কুলের কিছু ছাত্রকে প্ররোচিত করেছিলেন। তিনি তাঁর ঊর্ধ্বতনদের এ বিষয়ে জানিয়েছেন যে বিজয় দাসের কর্মকাণ্ডের কারণে তাঁর পক্ষে স্কুল চালানো খুব কঠিন হয়ে পড়েছে, এই ঘটনায় রানিগঞ্জ থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে স্কুলের শিক্ষক পাপিয়া মণ্ডলের দাবি, প্রতীমবাবু যেদিন থেকে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হয়ে এসেছেন, সেদিন থেকেই স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। তিনি প্রধান শিক্ষকের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের ওপর মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন। স্কুলের শিক্ষিকা পাপিয়া মণ্ডল স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান।