গত বছর ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম আফগানিস্তানে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল তালিবান সরকার। বুধবার তালিবানের তরফে সরকারিভাবে এই খবর জানানো হয়েছে।
তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানিয়েছে, ‘মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম তাজমির। ২০১৭ সালে এক ব্যক্তিকে ছুরি মেরে খুন করে সে। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে।’ তালিবান সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, তিনটি আদালতে বিচারের পর এবং সুপ্রিম ধর্মীয় নেতার আদেশ অনুসারেই মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও, তবে কীভাবে ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়নি। মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়ার সময় একাধিক তালিবান প্রশাসকও উপস্থিত ছিলেন। তালিবান মুখপাত্র জানান, তালিবানের অন্তর্বর্তী মন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি, উপ প্রধানমন্ত্রী আব্দুল ঘানি বরাদরও সাজার সময় উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন আফতানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিও।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের দাবি, এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে তালিবান। আফগানিস্তান যে শরিয়া আইন মেনে চলবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই প্রকাশ্যে চাবুক মারার অভিযোগ উঠেছিল তালিবানের বিরুদ্ধে। এবার প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিল আফগানিস্তানের শাসকরা। ফলে আফগানিস্তান যে আবারও অন্ধকার যুগে ফিরে গিয়েছে তা স্পষ্ট।