মাইসুরু, ৩ ফেব্রুয়ারি: স্ত্রীরে ১২ বছর ধরে ঘরবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কর্ণাটকের মাইসুরুর। অবশেষে পুলিশি উদ্যোগে ওই বধূ উদ্ধার পেলেও, স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাতে নারাজ।
এ ঘটনা যদিও রীতিমতো শিউরে ওঠার মতোই। সন্দেহের ফল এতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, এই ঘটনা তার প্রমাণ। জানা গিয়েছে, ১২ বছর আগে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন। সেই শেষ। তারপর আর বাড়ি থেকে বের হননি। সূর্যের আলো বলতে জানালা দিয়ে যেটুকু কিরণ ঢোকে, সেটাই। বাইরের জগতে কী হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছুই জানেন না। এমনকী, তাঁর শৌচালয়ে যাওয়ার অধিকারও ছিল না। একটা ছোট্ট বাক্স ব্যবহার করতেন। দীর্ঘ ১২ বছর কেটে গিয়েছে এভাবেই। অবশেষে পুলিশের সক্রিয়তায় উদ্ধার করা হল ওই মহিলাকে। দীর্ঘ ১২ বছর বাড়িতে বন্দি করে রাখলেও, স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে অস্বীকার করেছেন ওই মহিলা।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের মাইসুরুতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলাকে তাঁর স্বামী দীর্ঘ ১২ বছর ধরে ঘরে বন্দি করে রেখেছিলেন। ঘরের বাইরে শৌচালয় থাকায়, সেখানেও যাওয়ার অধিকার ছিল না তাঁর। ঘরের ভিতরেই একটি বাক্স ব্যবহার করতেন শৌচকর্মের জন্য।
জানা গিয়েছে, প্রথম থেকেই সন্দেহবাতিক ছিলেন স্বামী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সন্দেহ বাড়তে থাকে। তাই প্রতিদিন অফিস যাওয়ার সময় বাইরে থেকে দরজায় তালা মেরে যেতেন। বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি ছিল না স্ত্রীর। ওই দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে। তাঁরা ßুñল থেকে ফিরলেও ঘরে ঢুকতে পারত না। ওই ব্যক্তি অফিস থেকে ফিরে দরজা খুলতেন, তারপরই ঘরে ঢুকত তাঁরা। সেই কারণে জানালা দিয়েই সন্তানদের দুপুরের খাবার দিতেন ওই মহিলা। উদ্ধার করার পর স্বামী ও স্ত্রী-উভয়েরই কাউন্সেলিং করানো হয়েছে। তাঁরা দাম্পত্য কলহ নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন।