প্রত্যাহার করা হল লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর সাসপেনশন। বুধবার সর্বসম্মতিক্রমে তাঁর সাসপেনশন প্রত্যাহারের প্রস্তাব গ্রহণ করে লোকসভার বিশেষাধিকার কমিটি। এবার এই প্রস্তাব পাঠানো হবে লোকসভা স্পিকারের কাছে। এদিন লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়া অধীর চৌধুরীকে। তাঁর উপস্থিতিতে বিশেষাধিকার কমিটি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের সুপারিশ করে এক প্রস্তাব গ্রহণ করে।
প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনের শেষ দিন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে কিছু আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে, অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। মণিপুর হিংসার বিষয়ে আলোচনার সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী নীরব মোদি এবং ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন। এরপর ১১ অগাস্ট, ‘আপত্তিকর আচরণের’ অভিযোগে, লোকসভা থেকে অধীর চৌধুরীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার প্রস্তাব দেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি। প্রহ্লাদ যোশি তাঁর স্বপক্ষে যুক্তি হিসেবে দাবি করেছিলেন, ‘লোকসভা এবং লোকসভার অধ্যক্ষের কর্তৃত্বকে সম্পূর্ণ অবজ্ঞা করে বারবার ইচ্ছাকৃতভাবে কটু মন্তব্য এবং আপত্তিকর আচরণ করেছেন অধীর চৌধুরী।’ সাময়িকভাবে বরখাস্তের পর, সংবাদমাধ্যমের সামনে কংগ্রেস সাংসদ জানিয়েছিলেন, তাঁর আসল উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের যুক্তিগুলি স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা। তিনি শুধুমাত্র মনের ভাব প্রকাশ করেছিলেন কাউকে আঘাত করতে চাননি। একইসঙ্গে অধীর চৌধুরী এও জানিয়েছিলেন, তাঁর এই সাময়িকভাবে বরাখাস্তের আদেশকে তিনি সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। পরে বিশেষাধিকার কমিটিকেও অধীর চৌধুরী জানান, কারও অনুভূতিতে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না তাঁর। বাদল অধিবেশন চলাকালীন সংসদে ভিতর তিনি যে মন্তব্যগুলি করেছিলেন, তার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশও করেন। এরপরই তাঁকে লোকসভা থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশেষাধিকার কমিটি। সদস্যপদ এরপর, বিশেষাধিকার কমিটির সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ সুনীল কুমার সিং লোকসভা অধ্যক্ষের কাছে এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেন।