জোর করে ধর্মান্তকরণ  নিয়ে কেন্দ্রের পদক্ষেপ জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ (Forced Religious Conversion) ‘অত্যন্ত গুরুতর বিষয়’, পর্ববেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। প্রতারণা, প্রলোভন কিংবা ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ধর্মান্তকরণ রুখতে কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলল শীর্ষ আদালত। এই ধরনের ঘটনা জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেতে পারে বলেও মত আদালতের। ক্ষুণ্ণ হতে পারে নাগরিকের অধিকার তথা ধর্মীয় অধিকার।

সোমবার শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি এম আর শাহ (MR Shah) এবং হিমা কোহলির (Hima Kohli) বেঞ্চ জানায়, ‘এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জোর করে ধর্মান্তরকরণ বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। নচেত আগামী দিনে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।’ এই বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র তা জানতে চায় দুই বিচারপতির বেঞ্চ।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদি জোর করে ধর্মান্তকরণ বাস্তবিক চলতে থাকে, তবে তা অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যা প্রভাব ফেলতে পারে জাতীয় নিরাপত্তায় ও নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতায়। এই বিষয়ে কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ রুখতে ঠিক কী কী পদক্ষেপ করছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এই বিষয়ে কেন্দ্রের সার্বিক মতামত জানাতে ২২ নভেম্বর অবধি সময় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এরপর এই বিষয়ে ২৮ নভেম্বরে শুনানি হবে।এই বিষয়ে সলিসিটার জেনারেল (Solicitor General)  তুষার মেহতার (Tushar Mehta) তুষারের অভিযোগ, আদিবাসী এলাকায় হামেশা ধর্মান্তকরণ হয়ে থাকে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকা উচিত। কিন্তু জোর করে ধর্মান্তকরণ কখনও ধর্মীয় স্বাধানীতা হতে পারে না।

সুপ্রিম কোর্টে সোমবার শুনানি ছিল আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আবেদনের। সেখানে আবেদন জানানো হয়েছিল, জোর করে এবং লোভ দেখিয়ে ধর্মান্তরণ রুখতে দেশের সব রাজ্যকে কড়া নির্দেশ দিক কেন্দ্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + twenty =