বাংলার উপাচার্য সমস্যার সমাধান করতে কমিটি গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয়উমেশ ললিতকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এবার প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পৃথক সাব কমিটি গড়বেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত। আর প্রত্যেক কমিটিতে থাকবেন ৫ জন। তাঁদের খরচ বহন করবে রাজ্য। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৩ জনের নাম জমা পড়বে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের বা রাজ্যপালের কোনও আপত্তি থাকলে, তাও শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। ৪ সপ্তাহ পর ফের শুনানি হবে এই মামলার।
তবে এই মামলার আগে সুপ্রিম কোর্টে স্টেটাস রিপোর্ট জমা করবে রাজ্য। বহুদিন ধরেই বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নেই। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য রাজ্যপালের সংঘাতের আবহে বাস্তবে ভুগতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেখানকার পড়ুয়াদের। একটা সমাবর্তন কিংবা বৈঠক করতে গেলেও তা ঘিরে তৈরি হচ্ছে বিতর্ক। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতের রেশ পৌঁছয় সুপ্রিম কোর্ট অবধি।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টেও অনেকদিন ধরেই এই মামলার শুনানি চলছে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট বাংলার উপাচার্য সমস্যার সমাধানে কমিটি গড়ে দিল। যে কমিটির মাথায় থাকছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। তিনি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা করে সাব কমিটি গড়বেন। কমিটি বর্ণানুক্রমে তিনজনের প্যানেল সুপারিশ করবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই প্যানেলকে পছন্দের ক্রমানুযায়ী সাজিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে পাঠাবেন। মুখ্যমন্ত্রী চাইলে কোনও নামের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর বক্তব্য থাকলে, সেটি লিখে পাঠাতে পারবেন। কোনও সমস্যা মেটানোর থাকলে সুপ্রিম কোর্টে উত্থাপন করা যাবে। উচ্চশিক্ষা বিভাগ নোডাল বিভাগ হিসাবে কাজ করবে। আর তিন মাসের মধ্যে এই কাজ করতে হবে।