তীব্র দাবদাহ চলছে সারা বাংলাজুড়ে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে উত্তরোত্তর বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় বাংলায় ১৮ই এপ্রিল ২০২৩ মঙ্গলবার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ৯০২৪ মেগাওয়াট। এই রকম এক প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে প্রতিটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির ‘তাৎক্ষণিক যোগাযোগ ব্যবস্থা’পর্যবেক্ষণ ও আলোচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী শ্রী অরূপ বিশ্বাস, বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু, পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের সিএমডি শ্রী পি ভি সেলিম ও অন্যান্য সর্বোচ্চ আধিকারিকরা।
এদিনের এই আলোচনার পর পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই রেকর্ড চাহিদা পূরণ করে বাংলার ২ কোটি ২২ লক্ষ গ্রাহকদের সুষ্ঠুভাবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তর। পাশাপাশি এও জানানো হয়, এটা এখন পর্যন্ত স্বাধীনত্তোর বাংলায় সর্বকালীন রেকর্ড। এর আগে পূর্ববর্তী রেকর্ড ছিল ২০২২ সালের ১৭ অগাস্ট। সেদিন বিদ্যুতের চাহিদার অঙ্ক ছিল ৭৮৩২ মেগাওয়াট। এদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ডব্লিউবিপিডিসিএল, সংবহন ডব্লিউবিএসইটিসিএল এবং বণ্টন ডব্লিউবিএসইডিসিএল এই তিন সংস্থা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করে ১৮ এপ্রিল ২০২৩ এর বিদ্যুতের এই রেকর্ড পরিমাণ চাহিদাকে মিটিয়ে গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও মঙ্গলবার সিইএসি’র সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ২৫২৪ মেগাওয়াট –এটাও সর্বকালীন রেকর্ড।
এরই রেশ ধরে এদিন এও জানানো হয়, অনেক সময়েই ওভারলোডিংয়ের কারণে ট্রান্সফর্মার পুড়ে যাচ্ছে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেও বিদ্যুত্ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে সামনে আনা হয় সোমবার যোধপুর পার্ক, হরিদেবপুর,বেলঘড়িয়া এবং দক্ষিণেশ্বরে ওভারলোডিংয়ের ফলে ট্রান্সফর্মার পুড়ে যাওয়া ও যান্ত্রিক গোলযোগের ঘটনাকেও। আর সেই কারণে কিছু কিছু গ্রাহকদের সামান্য সময়ের জন্য বিদ্যুত্ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছিল বলে জানানো হয় পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফ থেকে।