দীর্ঘ প্রচেষ্টায় চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য, সাহায্য করেছে তামিলনাড়ুর মাটি!

চেন্নাই: নিরলস প্রচেষ্টা, দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা অবশেষে সাফল্য এনে দিয়েছে। পরিকল্পনা মাফিক কোনওরকম বড় বাধা ছাড়াই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩ এর বিক্রম ল্যান্ডার।
কিন্তু কীভাবে এল এই সাফল্য? কী ধরনের গবেষণাই বা হয়েছে। সূত্রের খবর বলছে, ইসরোর বিজ্ঞানীরা এই মিশনের আগেই চাঁদের মাটি পরীক্ষা করে দেখেছেন। অবাক করা তথ্য হল সেই একইরকম মাটি পাওয়া গিয়েছে দেশের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতেই। চন্দ্রযান-৩ -এর অবতরণের কয়েক ঘন্টা পূর্বেই অবাক করা এই তথ্যটি প্রকাশ্যে এসেছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, চাঁদের মাটির মতোই একই রকম মাটির হদিশ মিলেছে তামিলনাড়ুর নমাক্কাল জেলাতে। চেন্নাই থেকে ৪০০ কিমি দূরে অবস্থিত নমাক্কাল। জানা গিয়েছে, ২০১২ সাল থেকে ইসরোর বিজ্ঞানীরা এই জেলার মাটি নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন চাঁদের বুকে সফল ল্যান্ডিং-এর জন্য। মাটি পরীক্ষা করে তার থেকে পাওয়া ফলাফল বিশ্লেষণ করেই ল্যান্ডার মডিউলকে প্রয়োজনমতো তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
এই জেলার ভূতত্ত্ব সম্পর্কিত গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে বোঝা গিয়েছিল চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরুর মতোই একই ধরনের মাটি রয়েছে তামিলনাড়ুতে। এই মাটিকে ভুতাত্ত্বিক ভাষাতে ‘অ্যানোরথোসাইট’ নামে উল্লেখ করা হয়।
যদিও পেরিয়ার ইউনিভার্সিটির ভূতত্ত্ব বিভাগের ডিরেক্টর, অধ্যাপক এস. আনবাজগানের মতে, নামাক্কাল এলাকায় প্রচুর পরিমাণে মাটি পাওয়া যেত, যার ফলে ইসরো-এর প্রয়োজন মতো তা ব্যবহার করতে পেরেছে।
উল্লেখ্য ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের অন্যতম প্রাণ পুরুষ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আধুল কালাম, চন্দ্রযান-২ মিশনের ডিরেক্টর মাইলস্বামী আন্নাদুরাই, চন্দ্রযান-৩ মিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর বীরামুথুভেল পি- সকলেই দক্ষিণের এই রাজ্যেরই বাসিন্দা , ভূমিপুত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − fourteen =