টোটো তৈরির ওপর রাশ টানার সঙ্গে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে টোটো চলাচল রুখতেও কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। সেই কারণেই বেআইনিভাবে টোটো এবং ই-রিকশা বিক্রি রুখতেও ডিলারদের তলব করতে চলেছে পরিবহণ দফতর। সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের প্রায় দেড়শ ডিলারকে ডেকে পাঠানো হবে।সঙ্গে সাবাধানবাণীও শোনানো হবে যে, ভবিষ্যতে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া টোটো বা ই-রিকশা বিক্রি করলে সেই ডিলারকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।
এদিকে পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যে যে পরিমাণ টোটো বা ই-রিকশা রয়েছে তার মধ্যে ৯০ শতাংশেরই কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই। এমনকী এ ব্যাপারে কোনও তথ্যও দেওয়া হয় না সংশ্লিষ্ট আরটিও অফিসেও। এবার সেই ডিলারদের বিষয়েই কড়া অবস্থান নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, ‘গত কয়েকবছর ধরে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়াই ডিলাররা লাখ লাখ টোটো, ই-রিকশা বিক্রি করেছেন। এটা বে-আইনি। তাই ভবিষ্যতে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়া গাড়ি বিক্রি আটকাতেই ডিলারদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে।’
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, পরিবহণমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন প্রত্যেক পুরসভা এলাকায় কত সংখ্যক টোটো রয়েছে তার একটি তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা পাওয়ার পরেই গাইডলাইন প্রকাশ করা হবে। সেক্ষেত্রে টোচালকদের একটা করে কিউআর কোড বা পরিচয়পত্র দেওয়া হতে পারে। তাতে চালকের নাম ও ঠিকানার মতো তথ্য লেখা থাকবে। এমনকী আগামীদিনে বৈধ উপায়ে নতুন করে কেউ রাস্তায় টোটো নামাতে চাইলেও পুরসভায় নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
এই প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, যে কোনও গাড়ি বা বাইক বিক্রির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়ার কথা। ডিলার স্থানীয় আরটিও-কে জানালে সেখানে সেই গাড়ি নথিভুক্ত হয়। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বরও তৈরি হয়। কিন্তু ৯০ শতাংশ ডিলারই কোনওরকম রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই টোটো বিক্রি করেছেন। ফলে সরকারের কাছে জমা হয়নি সেই সংক্রান্ত কোনওরকম তথ্য। টোটো বা ই-রিকশাতেও লাগেনি কোনও নম্বর প্লেটও। আর এমনটা চলতে থাকলে আগামী বছর কয়েকের মধ্যে টোটো বা ই-রিকশার সংখ্যা এমন জায়গায় পৌঁছবে যে সাধারণ মানুষ রাস্তায় হাঁটাচলা করার জায়গা পাবেন না বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।