জবরদখল জমি উদ্ধারে তৎপর রাজ্য, জমি চিহ্নিত করে লাগানো হচ্ছে বোর্ড

জবরদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই তৎপর হয়ে শহরের একাধিক জায়গায় দখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে তৎপর হল ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দপ্তর। ইতিমধ্যেই দখল হয়ে যাওয়া জমি চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড লাগাচ্ছে সরকার। কলকাতার ৫২ টি এরকম জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে রাজ্য। এই জমিগুলি কলকাতার ১০৭,১০৮ এবং ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে।
জানা গিয়েছে, এই ওয়ার্ডগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরকারি জমি রয়েছে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে ২৬ টি জমি রয়েছে। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪ টি এবং ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ টি সরকারি জমি রয়েছে। এরমধ্যে একাধিক জমি জবরদখল হওয়ার আশঙ্কা ছিল। আবার বেশ কিছু জমি বেআইনিভাবে জবরদখল হয়ে গিয়েছে। সেই খবর পাওয়ার পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের নেতৃত্বে একটি দল সেখানে গিয়ে সরকারি জমিগুলিকে চিহ্নিত করে তাতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। পাশাপাশি জমির চরিত্রও চিহ্নিত করা হয়েছে। সাইন বোর্ডে লেখা রয়েছে ‘সরকারি জমি’।
সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে, এই জমিগুলিকে ব্যবহার করা। ভূমি ওরা ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জমিগুলি দখলমুক্ত করে সেগুলি কাজে লাগাতে চাইছে প্রশাসন। পাশাপাশি জমি চিহ্নিত করার জন্য জরিপের কাজ শুরু করেছে নবান্ন।
এদিকে, বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট রাখতেও সম্প্রতি পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে জলাভূমি ভরাটের কোনও অভিযোগ পেলেই কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পরেও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকরাও কোন পদক্ষেপ না করলে তাদেরকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া অন্যায়ভাবে কেউ জমির চরিত্র বদল করলেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই এবিষয়ে তৎপর হয় রাজ্য সরকার। কোথাও বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে জেলা এবং ব্লক আধিকারিকদের নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় ব্লক এবং জেলা অধিকারিকরা অভিযোগ পেলেও সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ করেন না। তবে সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ না করলেও আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − ten =